কালীপুজো মানেই বারাসতের ঠাকুর দেখা! বস্তুত, দুর্গাপুজোয় শহরতলি ও গ্রামের মানুষের ভিড় কলকাতামুখী হলেও, কালীপুজোয় কিন্তু ছবিটা একটু বদলে যায়। বারাসত কালীপুজোর জন্য বিখ্যাত। একের পর এক ক্লাব ও পুজো কমিটিগুলি বিগ বাজেটের পুজো আয়োজন করে। এ বছর তাদের পুজোর থিমে কী কী থাকছে? আসুন, জেনে নেওয়া যাক।
এ বারের দীপাবলিতে মাতৃসম বঙ্গভূমিকে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করছে কেএনসি রেজিমেন্ট। তাদের পুজোর থিম - বঙ্গভূমি তুমি অন্তর্যামী।
পায়োনিয়ার অ্যাথলেটিক ক্লাবের কালীপুজোর মণ্ডপ গড়া হচ্ছে মাইসোর প্যালেস বা মহীশূরের রাজপ্রাসাদের আদলে। দক্ষিণী রাজ্য কর্নাটকের এই প্রাসাদের সঙ্গে জড়িয়ে আছে ওয়াদিয়ার রাজ পরিবার।
নবপল্লি অ্যাসোসিয়েশনের থিম ভাবনায় মূর্ত হয়ে উঠছে বৃন্দাবনের চন্দ্রোদয় মন্দির। প্রসঙ্গত, বাস্তবে এটি একটি নির্মীয়মাণ মন্দির। যেটি গড়ে তুলতে অন্তত ৭০০ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে।
সন্ধানী ক্লাবের এ বারের কালীপুজোর থিম মায়াপুরের ইস্কন মন্দির। শ্রীকৃষ্ণের আরাধনায় স্থাপিত এই মন্দিরের প্রবেশদ্বার সকলের জন্যই সদা উন্মুক্ত।
আগুয়ান সঙ্ঘ (টাকি রোড) তাদের এ বছরের পুজোর আয়োজনে মহাকুম্ভ মেলার অনুকরণে মণ্ডপ সাজিয়ে তুলছে।
ন'পাড়া কল্যাণ সমিতির কালীপুজোর মণ্ডপ তৈরি হচ্ছে দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের আদলে। এখানে মাতৃপ্রতিমার দৈর্ঘ্য হবে ১৬ ফুট!
বালকবৃন্দ স্পোর্টিং ক্লাবের আয়োজনের সৌজন্যে বারাসতেই দেখা যাবে শ্রী স্বামীনারায়ণ মন্দির! অন্য দিকে, শ্রীকৃষ্ণের নগরী দ্বারকার দর্শন পেতে হলে যেতে হবে নবপল্লি আমরা সবাই ক্লাবের পুজো মণ্ডপে।
নারীর যন্ত্রণার কাহিনি ফুটে উঠবে শতদল সঙ্ঘ (টাকি)-এর এ বারের পুজোর আয়োজনে। তাদের কালীপুজোর থিম ‘অর্ধ আকাশের আর্তনাদ’! অন্য দিকে, দেবাদিদেবের প্রতি প্রণাম জানিয়ে ছাত্র সঙ্ঘ যুবকবৃন্দ ন'পাড়া দীপাবলিতে মণ্ডপের থিম হিসাবে বেছে নিয়েছে স্বয়ং নীলকণ্ঠকে!
তিরুপতি বালাজি মন্দিরের দর্শন পেতে যেতে হবে রেজিমেন্ট ক্লাবের পুজোয়। আর ভিসা-পাসপোর্ট ছাড়াই শুধুমাত্র থিমের সাহায্যে ইন্দোনেশিয়া ভ্রমণ করাবে রাইজ়িং স্টার স্পোর্টিং ক্লাব! এ বার তা হলে ঠিক করে নিন কালীপুজোয় বারাসতের কোন কোন পুজো মণ্ডপে আপনি ঢুঁ মারবেন! (এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।)