Kolkata Theme Puja Pandal

চক্রবেড়িয়া পুজোতে ‘জীবন্ত প্রতিমা’, ‘প্রথা’র বিরুদ্ধে শেকল ভাঙার ডাক

৮০তম বর্ষে চক্রবেড়িয়া সর্বজনীন দুর্গোৎসব। থিম ‘প্রথা’। জীবন্ত দেবী আর অন্ধ কুপ্রথার সংঘাতে সমাজের সামনে কঠিন প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন শিল্পী রিন্টু দাস।

Advertisement

আনন্দ উৎসব ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৯:১১
Share:

সংগৃহীত চিত্র।

বড় বড় চোখ। সেই চোখে হাজার বছরের কান্না, আবার প্রতিবাদের এক ইস্পাত কঠিন সংকল্প। এই বারের চক্রবেড়িয়া সর্বজনীনের ৮০তম বর্ষে থিম হলো, ‘প্রথা’ এবং তার প্রধান আকর্ষণ হল ‘জীবন্ত প্রতিমা’। এ মণ্ডপে দেবী নিছকই মাটির সৃষ্টি নন। এক মানবিক উপস্থিতি মূর্ত হয়েছেন দেবীর রূপে, যাঁর চোখ পলক ফেলে, যাঁর দৃষ্টিতে স্থিরতা ও তীব্রতার এক অদ্ভুত মিশেল। দর্শনার্থী ও শিল্পী মহল এই অভিজ্ঞতাকে ‘জীবন্ত প্রতিমা’ বলেই উল্লেখ করেছেন।

Advertisement

সংগৃহীত চিত্র।

শিল্পী রিন্টু দাস-এর এই ভাবনা, যেখানে দেবীর অলৌকিক শক্তির সঙ্গে বর্তমান সমাজের মহিলাদের জীবন যুদ্ধের একটি সোজাসাপটা বৈপরীত্য তৈরি করা হয়েছে। মণ্ডপ জুড়ে প্রতিধ্বনিত হচ্ছে প্রথাগত বন্ধন থেকে মুক্তির বার্তা, বিশেষ করে ‘অনার কিলিং’-এর মতো ভয়াবহ প্রথার বিরুদ্ধে সরব হওয়ার ডাক। দেবীর দশ হাতে যেমন অস্ত্র, তেমনই সমাজকে দেওয়া হচ্ছে পিতৃতান্ত্রিক শৃঙ্খল ভাঙার বার্তা।

সংগৃহীত চিত্র।

চক্রবেড়িয়া মনে করিয়ে দিচ্ছে যে উৎসবের দিনও আমাদের সমাজের অন্ধকার দিকগুলিকে ভোলা উচিত নয়। এই পুজো যেন একটি আয়না, যা সবার ভেতরের দ্বিধা আর সংস্কারকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে। দেবী দুর্গা এখানে কেবল দশভুজা নন, তিনি এই সমাজের প্রতিবাদের মুখ, যিনি কু-প্রথাকে শেষ করার শপথ নিয়েছেন।

Advertisement

‘আনন্দ উৎসব ২০২৫’-এর সাফল্যের নেপথ্যে রয়েছেন একাধিক সহযোগী। প্রেজ়েন্টিং পার্টনার ‘মারুতি সুজ়ুকি অ্যারেনা’। অন্যান্য সহযোগীরা হলেন ওয়েডিং পার্টনার ‘এবিপি ওয়ানস্টপ ওয়েডিং’, ফ্যাশন পার্টনার ‘কসমো বাজ়ার’, নলেজ পার্টনার ‘টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি’, ব্যাঙ্কিং পার্টনার ‘ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া’, কমফোর্ট পার্টনার ‘কার্লন’।

এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement