সংগৃহীত চিত্র।
ঢাকে কাঠি পড়তেই শহর থেকে গ্রাম, প্রতিটা মণ্ডপ যেন সেজে উঠেছে আপন রঙে। কিন্তু এই উৎসবের মাঝেও কিছু আয়োজন মনে করিয়ে দেয়, মা দুর্গার আগমনের সঙ্গে সঙ্গে সমাজের কিছু কঠিন প্রশ্নও উঠে আসে। যেমন, এই বছর, হলদিয়া শিল্পশহরের বাসুদেবপুর ক্ষুদিরাম স্মৃতি সংঘের পুজো।
তাদের ৩৭তম দুর্গোৎসবের থিম এ বার ‘চাই না হতে উমা’। থিমের নামেই যেন চাপা আর্তনাদ, এক গভীর জিজ্ঞাসা! বাঙালি নারীদের মা, দিদি, বোনের আসনে বসায়, কিন্তু সমাজের পথেঘাটে নারীরা যখন প্রতিনিয়ত লাঞ্ছনা, নির্যাতন, ধর্ষণ, খুন ও হিংস্রতার শিকার হন, তখন প্রশ্ন ওঠে— এই মায়ের আরাধনা কেন?
পুজো কমিটি এই থিমের মাধ্যমে ঠিক এই প্রশ্নটিই ছুড়ে দিয়েছে সাধারণের দিকে। ক্লাব সদস্যের মতে, বাঙালিরা নারীদের মা, দিদি বা বোন রূপেই দেখে। অথচ সমাজে অনেক ক্ষেত্রেই তাঁদের ভোগের পাত্র হিসাবে দেখা হয়। তা হলে মাকে পুজো করে লাভ কী? তাই এ বছর তাঁরা ‘চাই না হতে উমা’ থিমের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা করছেন। ছোট থেকে ছেলেদের বোঝাতে হবে নারীদের সম্মান করতে। তবেই সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে।
প্রায় ৬০ লক্ষ টাকার বিপুল বাজেটে তৈরি হচ্ছে এই মণ্ডপ। রথযাত্রার দিন খুঁটিপুজোর মাধ্যমে শুরু হওয়া প্রস্তুতিতে মণ্ডপসজ্জা থেকে প্রতিমা— সবেতেই নারীদের দৈনন্দিন জীবনের লড়াই ও তাঁদের অব্যক্ত বেদনার ছবি ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা চলছে। এর মধ্য দিয়ে লক্ষ লক্ষ দর্শনার্থীর কাছে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে নারী সুরক্ষার গুরুত্বপূর্ণ বার্তা। হলদিয়ার সেরা পুজোগুলির তালিকায় নিয়মিত নাম থাকা এই ক্লাব এবারও অভিনবত্বের ছাপ রেখে ভিড় আরও বাড়বে বলে আশা রাখছে। উৎসবের এই দিনগুলিতে এমন একটি জোরালো বার্তা সমাজকে নাড়া দিক, এটুকুই প্রত্যাশা ক্ষুদিরাম স্মৃতি সংঘ পুজো কমিটির।
‘আনন্দ উৎসব ২০২৫’-এর সাফল্যের নেপথ্যে রয়েছেন একাধিক সহযোগী। প্রেজ়েন্টিং পার্টনার ‘মারুতি সুজ়ুকি অ্যারেনা’। অন্যান্য সহযোগীরা হলেন ওয়েডিং পার্টনার ‘এবিপি ওয়ানস্টপ ওয়েডিং’, ফ্যাশন পার্টনার ‘কসমো বাজ়ার’, নলেজ পার্টনার ‘টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি’, ব্যাঙ্কিং পার্টনার ‘ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া’, কমফোর্ট পার্টনার ‘কার্লন’।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।