পুজো মানেই কেবল মণ্ডপ, প্রতিমা আর আলোর ঝলকানি নয়। কোথাও কোথাও পুজো হয়ে ওঠে শিল্পের খোলা বই। পশ্চিম পুটিয়ারির পল্লী উন্নয়ন সমিতি সে বই এ বার লিখছে লোকশিল্পের নতুন অধ্যায়।
৭১ তম বর্ষে তাঁদের পুজোর বিষয় ‘চারিকল্প’। শিল্পী সোমনাথ তামলির ভাবনা অনুযায়ী এই ‘চারিকল্প’ আসলে ঘট, পট, সরা ও মূর্তির সমন্বয়।
বাংলার লোকশিল্পে চারটি মাধ্যমই যে ভরপুর ঐতিহ্যের, সেটাই নতুন করে ধরা পড়বে মণ্ডপে।
শিল্পী সোমনাথ তামলি তাঁর এই সৃষ্টিকে নিখুঁত ভাবে ফুটিয়ে তুলতে সাহায্য নিয়েছেন দুই তরুণীর। একজন ক্ষেত্র গবেষক ও লেখিকা রিমি দত্ত বণিক দে। আরেকজন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃতি ছাত্রী আলোক নূর ইভানা।
এই দু’জনই গ্রাম বাংলার জীবনধারার সঙ্গে একাত্ম। একজন জানেন বাংলার ব্রত আর দেবীর পুজোর রীতিনীতি, অন্যজন জানেন সে ইসব ব্রতর নকশার গভীর তাৎপর্য।
একজন খোঁজেন লোকশিল্পের নেপথ্যের গল্প, আরেকজন ব্যস্ত থাকেন তার আঙ্গিক নিয়ে।
এই দুই ‘মেঠো কন্যা’র নিরন্তর সমীক্ষা থেকেই বেরিয়ে আসছে লোকশিল্পের সেই সব অজানা কথা, যা দিয়ে সোমনাথ তাঁর মণ্ডপকে সাজিয়ে তুলছেন পরম যত্নে।
“পুজোর যে চারটে মাধ্যম আছে, ঘট, পট, সরা এবং মূর্তি—এই চারটিতেই আমরা এ বারের ভাবনা গড়েছি,” বলছেন ক্লাবের সদস্য শুভ সাহা।
লোহার বিশাল কাঠামোকে ঘিরে থাকছে খেজুর পাতা ও হোগলা পাতার কাজ। আর এই মণ্ডপ ভরে উঠবে নানা ধরনের পট ও সরায়।
বাংলার কত রকম পট রয়েছে, তার একটা অংশই যেন জীবন্ত হয়ে উঠবে এই শিল্পকর্মে।(এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।)