শারদীয় আনন্দ মানেই নতুন করে বাঁচা, পুরনো স্মৃতিতে ডুব দেওয়া। কলকাতার আনাচে-কানাচে এখন উৎসবের ঢেউ, আর তার মধ্যেই কিছু গল্প লুকিয়ে থাকে। যেমন, বিবেকানন্দ পার্ক অ্যাথলেটিক ক্লাবের এই বছরের আয়োজন।
৫৪টি বছর পেরিয়ে এ বার তারা পা দিচ্ছে ৫৫-তে। পুজো মানে তো শুধু প্রতিমা নয়, পুজো মানে একটা গল্প।
এ বারের তাদের গল্পটি যেন এক হারিয়ে যাওয়া দিনের কথা বলছে। থিম, ‘বায়োস্কোপ’।
শিল্পী শুভাশিস মাইতির ভাবনায় এ বছরের থিম—‘বায়োস্কোপ: সময়ের ফ্রেমে মা’।
কোষাধ্যক্ষ দুর্জয় কুমার পোদ্দারের কথায়, “বায়োস্কোপের মাধ্যমেই আমরা দেখাতে চাইছি সময়ের ফ্রেমে মায়ের রূপ ও পরিবর্তন।”
তিনি এই বিষয় আরও বললেন, “বায়োস্কোপ এমন একটা যন্ত্র, যেটা গ্রাম বাংলার এক সময়ের বিনোদনের এক মাত্র মাধ্যম ছিল। তখন সিনেমা তো আর সবার পাড়ায় পাড়ায় ছিল না, বা সবার কাছে সিনেমা পৌঁছতে পারত না।”
“এক সময় গ্রাম বাংলায় সিনেমা দেখার এক মাত্র মাধ্যম ছিল এই বায়োস্কোপ। তো এই মেশিনটা আজকের দিনে বিলুপ্ত, নতুন প্রজন্ম হয়তো জানেই না যে বায়োস্কোপ কী।”
“আমরা সেই হারিয়ে যাওয়া বায়োস্কোপকেই মণ্ডপের মধ্যে নিয়ে আসতে চলেছি।”
মণ্ডপে বাঁশ-তাঁতের সঙ্গে থাকবে বিশেষ আকর্ষণ—একটি লাইভ বায়োস্কোপ।
দর্শনার্থীরা চোখ রাখলেই অনুভব করবেন সেই প্রাচীন কালের মায়া, যেখান থেকে শুরু হয়েছিল সিনেমার গল্প। (এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।)