আগামীর দিনগুলি শুভ হবে, নাকি অশুভ - তার সংকেত লুকিয়ে থাকে বর্তমানের অন্তরালে। কিন্তু, আমরা কি সব সময় সেই বার্তা উপলব্ধি করতে পারি? সময় থাকতে হতে পারি সতর্ক?
এ বার পুজোয় আপনি যদি কলকাতার সিকদার বাগান সাধারণ দুর্গোৎসবের মণ্ডপে পৌঁছে যান, তা হলে হয়তো এমনই সব প্রশ্নের আনাগোনা শুরু হবে আপনার অন্তরে।
সিকদার বাগানের দেবী বন্দনার পরম্পরা শহর কলকাতার প্রাচীন বারোয়ারি দুর্গাপুজোগুলির মধ্যে অন্যতম।
সিকদার বাগান সাধারণ দুর্গোৎসব কমিটির সদস্য তথা কোষাধ্যক্ষ বিজয় দাস জানালেন, তাঁদের পুজোর বয়স ১১৩ বছর।
বিজয় জানিয়েছেন, এ বার তাঁদের পুজোর থিম 'সংকেত'।
থিম ভাবনা এবং তা রূপায়ণের দায়িত্ব যে শিল্পীর কাঁধে রয়েছে, তিনি হলেন মানস দাস।
উদ্যোক্তাদের বক্তব্য, ঠিক যেমন পাখপাখালির ডাক প্রতিদিন আমাদের বুঝিয়ে দেয়, সংকেত দেয় যে - ভোর হয়েছে, এ বার সকাল হবে। তেমনই প্রকৃতিও প্রতি নিয়ত আমাদের নানা সংকেত দিচ্ছে।
ইদানীং, দেশের প্রায় সর্বত্রই প্রকৃতি তার রুদ্র রূপ দেখাচ্ছে। ভূমি ক্ষয় হচ্ছে, মেঘ ভাঙা বৃষ্টিতে ধসে যাচ্ছে জনপদ। এ সবই প্রকৃতির সংকেত।
আগ্রাসী মানব সভ্যতা যে ভাবে প্রকৃতিকে লাগাতার ধ্বংস করেছে, এ বার যেন প্রকৃতি তারই বদলা নিতে শুরু করেছে। দুর্যোগের ঘনঘটা আসলে সে সবেরই সংকেত।
গভীর বার্তাবাহী এই থিম পুজো মণ্ডপে ফুটিয়ে তুলতে ব্যবহার করা হচ্ছে টিন, কাঠ, জানলা, দরজা, প্লাস্টার অফ প্যারিসের মতো নানা উপকরণ বা সামগ্রী। (এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ)।