Kolkata Theme Puja Pandal

শ্রমজীবী বাবার কাঁধে দেবীর আগমন, পানশিলা ঠাকুরবাড়ির পুজোয় কোন বার্তা দিচ্ছে ‘শ্রীচরণেষু’

ঐতিহ্যের পুজোয় এ বার বাবাদের নিঃশব্দ সংগ্রাম আর ভালবাসা ফুটে উঠছে।

Advertisement

আনন্দ উৎসব ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৯:০৭
Share:

সংগৃহীত চিত্র।

সোদপুরের গলি ধরে হাঁটতে হাঁটতে পৌঁছে যাবেন এক বিশেষ ঠিকানায়—পানশিলা ঠাকুরবাড়ি। ৭৫ বছরেরও বেশি ঐতিহ্য বহন করে চলা এই দুর্গাপুজো এ বার বেছে নিয়েছে এক অন্য রকম গল্প। নাম দিয়েছে— ‘শ্রীচরণেষু’।

Advertisement

দেবী দুর্গা এ বার সিংহাসনে নয়, বসছেন এক সাধারণ রিকশায়। এই ব্যতিক্রমী শিল্পকল্পে ধরা পড়ছে বাবাদের গল্প—যাঁরা সারা জীবন পরিবারের ভার বইছেন নীরবে, কষ্টের চাকা ঘুরিয়েও মুখে ক্লান্তি আনেন না। থিমে উঠে এসেছে শ্রম, মায়া আর নিঃশব্দ লড়াইয়ের কাহিনি।

আসলে পুজোর আলোড়নের মাঝে মায়েদের স্নেহ নিয়ে যত আলোচনা হয়, বাবাদের ভূমিকা যেন ততটাই অগোচরে থেকে যায়। সেই অদৃশ্য পরিশ্রমকেই মণ্ডপে জীবন্ত করে তুলেছেন শিল্পীরা। দর্শনার্থীরা যখন দেখবেন মায়ের প্রতিমা এক রিকশার উপরে, তখন চোখে ভেসে উঠবে অসংখ্য বাবার ছবি—যাঁরা প্রতি দিন লড়াই করে চলেছেন পরিবারকে নিরাপদে রাখার জন্য।

Advertisement

পানশিলা ঠাকুরবাড়ির পুজো শুধু চোখ ধাঁধানো সাজ নয়, বরং আবেগের উৎসব। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে এই পুজো গ্রাম-শহরের মানুষকে টেনে এনেছে কাছাকাছি। এ বারও তার ব্যতিক্রম হবে না। আবেগ, ঐতিহ্য আর শিল্পকলার মেলবন্ধন মিলিয়ে তৈরি হচ্ছে এক স্মরণীয় মুহূর্ত।

পুজো মানে আলোর ঝলকানি, শব্দ, আনন্দ, ভিড়। তার মধ্যেই যদি বাবার ভালবাসার কাহিনি ধরা পড়ে প্রতিমার রূপে, তবে সেটাই হয়ে ওঠে আলাদা আকর্ষণ। সোদপুরের এই মণ্ডপ তাই এ বার আবেগের দিক থেকেও অনন্য হয়ে উঠছে।

এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement