কলকাতার দুর্গোৎসব মানেই শুধু আলো আর রঙের বাহার নয়, প্রতিটি প্যান্ডেলে লুকিয়ে থাকে এক-একটা গল্প।
এ বার ৭8তম বর্ষে উল্টোডাঙার করবাগান সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি বেছে নিয়েছে এক অন্য স্বাদ—‘দূর আভাস’।
স্মৃতি মানেই তো চেনা-অচেনা সুখ-দুঃখের সঞ্চয়। শিল্পী শাশ্বত কুণ্ডু সেই স্মৃতির বাহন হিসেবে তুলে ধরেছেন টেলিফোনকে।
এক সময় যেটা শুধু যোগাযোগের মাধ্যম ছিল, সেটাই হয়ে উঠেছে আবেগের মাধ্যম। তারে জড়ানো হাসি, কান্না, প্রেম, বিচ্ছেদ—সব কিছুরই সাক্ষী সে।
প্যান্ডেলের ভেতর দিয়ে যেন টেলিফোনের সেই তারগুলি বুনে দিয়েছে মায়ার জাল, যার ভেতরে বাস করছে সবার নিত্য দিনের গল্প।
থিমের নকশা সাজিয়েছেন মানব সাহা, আর আলোয় প্রাণ এনেছেন অয়ন চট্টোপাধ্যায়।
কিউরেটর প্রফেসর রতন কুমার সন্যাইমতের তত্ত্বাবধানে সাজানো এই মায়াজালে দর্শক কখনও খুঁজে পাবেন অতৃপ্তির সুর, কখনও মিলনের উচ্ছ্বাস।
শিল্পীরা জানাচ্ছেন, দেবী মহামায়াই তো আদ্যাশক্তি। সেই শক্তি থেকেই জন্ম নেয় সব মায়া, আবার সেখানেই বিলীন হয়।
তাই পুরো থিমের কেন্দ্রে মহামায়ার রূপ, যিনি সৃষ্টি আর লয়ের মধ্যবর্তী যোগসূত্র।
এই ভাবেই উল্টোডাঙা করবাগান এ বার পুজোর আবহে সাজিয়ে তুলছে স্মৃতির রঙিন দুনিয়া। ( এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ। )