সংগৃহীত চিত্র।
শহর কলকাতায় যেমন বারোয়ারি থিম পুজো রয়েছে, বনেদি বাড়ির পুজো রয়েছে, তেমনই রয়েছে আবাসনের পুজো। শহরের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা আবাসনগুলির বাসিন্দারা নিজেদের উদ্যোগে এই ধরনের আয়োজন করেন। শহরের আবাসনের পুজোগুলির মধ্যে অন্যতম হল ডায়মন্ড সিটি সাউথের দুর্গোৎসব।
সংগৃহীত চিত্র।
এ বছর তাদের পুজোর থিম হল - 'নবরূপে দুর্গা ও আজকের নারী'। এবারের পুজোয় বিশেষ আকর্ষণ বলতে ছিল ষষ্ঠীতে অনুষ্ঠিত বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
সংগৃহীত চিত্র।
আসলে বছরভরই এই পুজোর উদ্যোক্তারা নানাবিধ সামাজিক কাজকর্মের সঙ্গে যুক্ত থাকেন। স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলির সৌজন্যে প্রত্যেক পুজোয় শিশু ও প্রবীণদের আমন্ত্রণ জানানো হয় এই আবাসনে।
এ বছর এই উদ্যোগের পরিসর আরও কিছুটা বাড়ানো হয়। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলির মাধ্যমে আমন্ত্রিত প্রবীণ নাগরিকদের জন্য একটি বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ষষ্ঠীর এই অনুষ্ঠান ছিল - নাচে, গানে, আনন্দে ও আড্ডায় ভরা।
এ বারের এই অনবদ্য আয়োজনের নেপথ্যে রয়েছেন আবাসনের বাসিন্দা কোয়েলি চট্টোপাধ্য়ায়। মূলত, তাঁর পরিকল্পনা অনুসারেই স্থির হয়, আবাসনের প্রবীণ নাগরিকরা এ বছর আমন্ত্রিত প্রবীণদের পুজোয় স্বাগত জানাবেন। তারপর সকলে মিলে অনেকটা সুন্দর সময় কাটাবেন।
সেই মতোই ষষ্ঠীতে এই বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পালন করা হয়। তাতে যোগদান করেন আবাসনেরই নানা বয়সের মহিলা। যাঁদের মধ্যে অনেকেই এর আগে কোনও দিন এই ধরনের কোনও অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেননি।
সবথেকে বড় কথা হল, সকলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও পরিশ্রমের ফলে এ দিন সাফল্যের সঙ্গে সেই অনুষ্ঠান পালন করা হয়েছে।
‘আনন্দ উৎসব ২০২৫’-এর সাফল্যের নেপথ্যে রয়েছেন একাধিক সহযোগী। প্রেজ়েন্টিং পার্টনার ‘মারুতি সুজ়ুকি অ্যারেনা’। অন্যান্য সহযোগীরা হলেন ওয়েডিং পার্টনার ‘এবিপি ওয়ানস্টপ ওয়েডিং’, ফ্যাশন পার্টনার ‘কসমো বাজ়ার’, নলেজ পার্টনার ‘টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি’, ব্যাঙ্কিং পার্টনার ‘ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া’, কমফোর্ট পার্টনার ‘কার্লন’।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।