দর্জিপাড়া মিত্র বাড়ির দুর্গাপুজো কিন্তু শুরু হয় কালীপুজোর হাত ধরে। ফলে দুর্গাপুজোয় এই বাড়ি থেকে ঘুরে গেলে, কালীপুজোর সময় আবারও ঢুঁ মারতেই পারেন অন্য রকম অভিজ্ঞতার জন্য।
দর্জিপাড়া মিত্র বাড়ি থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে রয়েছে প্রামাণিক বাড়ি। এই বাড়িতেও ধুমধাম করে দেবীর আরাধনা করা হয়।
শিমলার এই প্রামাণিক বাড়ির আরেক শাখা আছে বরাহনগরে। সেখানেও কালীপুজো করা হয়।
হালদার বাড়িতে আজও পুরনো রীতি মেনে মোমবাতি জ্বেলে সেই আলোতেই কালীর আরাধনা করা হয়।
ছাতু বাবু লাটু বাবুর বাড়ির দুর্গাপুজো জনপ্রিয়। তবে এই বাড়িতেও কিন্তু কালীপুজো করা হয় সাড়ম্বরে।
শিবকৃষ্ণ দাঁ বাড়িতেও ১৯৭১ সাল থেকে ১৮০০ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে কালীপুজো হয়ে আসছে। ফলে দুর্গাপুজোয় মিস গেলে, এই সময় ঘুরে আসতেই পারেন।
বেথুন রো-এ রয়েছে নিস্তারিণী কালী মন্দির। নানেদের কালী মন্দির নামেও এটা পরিচিত। ঈশ্বরচন্দ্র নান এই মন্দির স্থাপন করেছিলেন। এই মন্দিরে যে বিগ্রহ পূজিত হয় সেটি প্রথমে দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের জন্য নির্মাণ করা হলেও মাপমতো না হওয়ায় সেটি এখানে এনে পুজো করা শুরু হয়।
ভোলানাথ ধামে সাড়ম্বরে কালীপুজো পালিত হয়। তবে এখানকার আকর্ষণ শ্যামাপুজোর বিকেলের ফানুস ফেস্টিভ্যাল।
মাছুয়াবাজারের শ্রী শ্রী বসা কালী মন্দিরে দেবী বসে রয়েছেন। চেনা ছবির মতো শিবের বুকে পা দিয়ে তিনি দাঁড়িয়ে নেই এখানে।
দুর্গাপুজোয় যেমন লিস্ট বানিয়ে বনেদি বাড়ির পুজো দেখতে যান, এই বছর কালীপুজোতেও একই ভাবে যাবেন নাকি বনেদি বাড়ির কালীপুজোয়? (এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।)