গণেশ চতুর্থীর সময়ে যেন আমূল পাল্টে যায় রোজকার কর্মব্যস্ত মুম্বই। শহরের প্রতিটি কোণে, প্রতিটি মণ্ডপে সে দিন মানুষের ঢল। গণপতি বাপ্পার পুজোয় উল্লাসে মাতোয়ারা হয়ে ওঠেন শহরবাসী। গণেশপুজোর আগে চলুন জেনে নেওয়া যাক বাণিজ্যনগরীর সেরা গণেশপুজো কোনগুলি।
মুম্বইয়ের সবচেয়ে বিখ্যাত এবং সর্বাধিক ভক্ত সমাগমের জন্য পরিচিত লালবাগচা রাজার মণ্ডপ। প্রায় ৯০ বছরের পুরনো এই পুজোয় আরাধ্য বিগ্রহকে 'ইচ্ছাপূরণকারী গণেশ' বলা হয়। তাঁর এক ঝলক দর্শনের জন্য ভক্তেরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকেন।
লালবাগচা রাজার ঠিক পাশেই গণেশ গলি মুম্বাইচা রাজার মণ্ডপ। তার নতুন নতুন থিম এবং শিল্পকলার টানে প্রতি বছরই বহু মানুষ ভিড় করেন। এটি মুম্বইয়ের অন্যতম পুরনো এবং সবচেয়ে আকর্ষণীয় মণ্ডপগুলির মধ্যে একটি।
মুম্বইয়ের সবচেয়ে ধনী গণেশ মণ্ডপ হিসাবে পরিচিত কিংস সার্কেলের জিএসবি সেবা মণ্ডল। প্রায় ৩৩০ কেজি সোনা ও রুপোর গয়নায় সজ্জিত এখানকার গণেশ মূর্তি বাণিজ্যনগরীর সবচেয়ে ঐতিহ্যবাহী গণেশ মূর্তিগুলির অন্যতম।
অন্ধেরি অঞ্চলের সবচেয়ে জনপ্রিয় গণেশ মণ্ডপ হল আন্ধেরিচা রাজা। এখানে গণেশকে ভক্তদের 'সঙ্কটমোচন' রূপে দেখা হয়। প্রতি বছর বহু তারকা এবং সাধারণ মানুষের ভিড় লেগে থাকে এখানে।
মুম্বইয়ের খেতওয়াড়ি এলাকাটি তার দর্শনীয় গণেশ মণ্ডপের (খেতওয়াড়ি গণরাজ) জন্য পরিচিত। এখানকার গণেশ মূর্তিগুলি তাদের উচ্চতার জন্য বিখ্যাত। এখানে এক-একটি মূর্তির উচ্চতা প্রায় ৪০ ফুট পর্যন্ত হয়ে থাকে।
মুম্বইয়ের খেতওয়াড়ি এলাকাটি তার দর্শনীয় গণেশ মণ্ডপের (খেতওয়াড়ি গণরাজ) জন্য পরিচিত। এখানকার মূর্তিগুলি তাদের উচ্চতার জন্য বিখ্যাত। এ পাড়ায় এক-একটি মূর্তির উচ্চতা প্রায় ৪০ ফুট পর্যন্ত হয়ে থাকে। চিঞ্চপোকলি চিন্তামণি মণ্ডপটি বিখ্যাত তার সুপ্রাচীন ঐতিহ্যের জন্য। এখানে গণেশ বিসর্জনের যাত্রা দেখতে হাজার হাজার মানুষ ভিড় করেন প্রতি বারই।
তিলক নগর এলাকার অন্যতম সেরা গণেশ মণ্ডপ সহ্যাদ্রি ক্রীড়া মণ্ডল। প্রতি বছর এখানে সামাজিক বার্তা সংবলিত বা কোনও বিশেষ থিমের উপর ভিত্তি করে মণ্ডপ সাজানো হয়, যা দর্শনার্থীদের মধ্যে আলোড়ন তৈরি করে।
থানে শহরের সবচেয়ে জনপ্রিয় গণেশ মণ্ডপ তেম্বি নাকা গণেশ উৎসব মণ্ডল। এখানকার গণেশ মূর্তিটি তার আকার, সাজসজ্জা এবং রাজকীয়তার জন্য বিখ্যাত। এখানেও প্রচুর ভক্তের সমাগম হয়।
মুম্বইয়ের সবচেয়ে পুরনো গণেশ মণ্ডপগুলির মধ্যে অন্যতম হল কেশবজি নায়েক চৌল। প্রায় ১২০ বছর আগে শুরু হয়েছিল এই পুজো। বাল গঙ্গাধর তিলক নিজে এই মণ্ডপের সূচনা করেছিলেন। এটি তার ঐতিহাসিক গুরুত্ব এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশের জন্য পরিচিত। (এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ )।