প্রতীকী চিত্র।
হৈমন্তিকার আরাধনা শুরু হয়ে গিয়েছে। জগদ্ধাত্রী পুজো মানেই আলোর মালায়, বিভিন্ন থিমে সেজে ওঠে চন্দননগর। ফরাসডাঙার অন্যতম জনপ্রিয় পুজোগুলির একটি হল মনসাতলা বারোয়ারি। সেখানেই এ বার উঠে এসেছে ডাকের সাজ তৈরি হয় বাংলার যে গ্রামে, সেই ‘বনকাপাসি’র কথা।
মনসাতলা বারোয়ারির মণ্ডপ গোটাটাই সেজে উঠেছে ডাকের সাজে। দেবীও সাজেও সেই শোলার কারুকাজ। মণ্ডপে ঢোকার মুখেই দেখা যাচ্ছে স্টেশন, যেখানে লেখা রয়েছে ‘বনকাপাসি’। ভিতরে ঢুকলে ডাকের সাজের হরেক জিনিস রাখা। লেখা রয়েছে বিভিন্ন ছড়াও।
জানিয়ে রাখা ভাল, বনকাপাসি এমন এক গ্রাম, যেখানে অধিবাসীদের সকলেই শোলা শিল্পের সঙ্গে জড়িত। পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোট থানা এলাকার এই গ্রামে তৈরি শোলার সামগ্রী বা সজ্জা বাংলা বা ভারত তো বটেই, বিদেশের বিভিন্ন প্রান্তেও পৌঁছে যায়। তাঁদের তৈরি যে ডাকের সাজে কমবেশি চন্দননগরের অধিকাংশ জগদ্ধাত্রী প্রতিমা সেজে ওঠে, সেই ‘ডাকের ইতিকথা’ই এ বার মনসাতলার থিম।
মণ্ডপে তুলে ধরা হয়েছে কী ভাবে পাট কাঠি থেকে শোলা তৈরি হয়, তার পরে শোলা কেটে তৈরি হয় ডাকের সাজ। দেবীও তাতেই সুসজ্জিতা। সব মিলিয়ে এক ভিন্ন স্বাদের পুজো। চন্দননগরে গেলে তাই একেবারে অন্য রকমের এই মণ্ডপ এবং প্রতিমা দেখতে ভুলবেন না যেন!
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।