Khalisani Jagadhatri Puja 2025

শোলার গয়নায় সেজে উঠেছে ‘আমাদের পৃথিবী’, খালিসানির ৭৭ বছরের জগদ্ধাত্রী পুজোয় এ বার কী চমক?

চন্দননগরের অন্যতম আকর্ষণ খালিসানি জগদ্ধাত্রী পুজো, এ বার ‘আমাদের পৃথিবী’ থিমে মাতছে আলো-শোলার রঙে।

Advertisement

আনন্দ উৎসব ডেস্ক

শেষ আপডেট: ৩১ অক্টোবর ২০২৫ ১৭:৩৯
Share:

সংগৃহীত চিত্র।

চন্দননগরের নাম উঠলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে আলোর ঝিলিমিলি আর সুউচ্চ প্রতিমার গাম্ভীর্য। সেই ঐতিহ্যকে পাথেয় করেই শহরের অন্যতম বৃহৎ পুজো, খলিসানি সার্বজনীন জগদ্ধাত্রী পুজো এ বার ৭৭তম বর্ষে এক অন্য আবহে সেজে উঠেছে। প্রতি বছরের মতো এ বারও খলিসানি নিয়ে ভক্তদের কৌতূহল তুঙ্গে।

Advertisement

১৯৪৯ সালে পথচলা শুরু হয় এই পুজোর। অর্থাৎ সেই সময় থেকেই চন্দননগর স্টেশন রোড ধরে মিনিট পাঁচেক হাঁটা পথে এর অবস্থান। স্টেশনের কাছে হওয়ায় বহু বছর ধরে এই পুজো সর্বসাধারণের কাছে বিশেষ আকর্ষণ সৃষ্টি করেছে।

চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজো মানেই যে কেবল চোখ ধাঁধানো আলোকসজ্জা আর থিমের নানা বাহার, সেই ধারণা এ বার কিছুটা হলেও পাল্টেছে। বিগত কয়েক বছর ধরেই দেখা যাচ্ছে প্রতিমার শোলার সাজসজ্জাতেও থিমের বৈচিত্র্য। এই বছর সেই শোলার কারুকার্যই মূল আকর্ষণ খলিসানি সর্বজনীনের। সুবিশাল দেবী প্রতিমা এ বার সেজে উঠছে সম্পূর্ণ শোলার গয়নায়। শিল্পী আকাশ পাল-এর নিপুণ হাতের জাদুতে দেবী-সাজে ফুটে উঠেছে ‘আমাদের পৃথিবী’র প্রতিচ্ছবি। শোলার ফ্রেমে যখন পৃথিবীর ছবি জীবন্ত হয়ে ওঠে, তখন দেবী যেন আরও বেশি করে ঘরের মানুষ হয়ে ওঠেন। মণ্ডপসজ্জায় দেখা গেছে মোনালিসার একটি সুবিশাল ছবি, পাশেই রয়েছে কুচিপুড়ি নর্তকীর ছবি। এই অভিনব ভাবনার বুনন দর্শককে শুধু আনন্দই দেবে না, একই সাথে এক মানবিক বার্তা দেবে। ইতিমধ্যেই পুজোপ্রেমী মানুষজন দেবী দর্শন করে ফেলেছেন।

Advertisement

এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement