Bonedi Bari Jagaddhatri Puja

দে বাড়ি থেকে মৈত্র বাটি, কলকাতার কোন কোন বনেদি বাড়িতে জগদ্ধাত্রী পুজো হয় জানেন?

গঙ্গা পেরিয়ে এ শহরেও আছে বহু বনেদি বাড়ি, যেখানে আজও প্রদীপের আলোয় মা জগদ্ধাত্রী জেগে ওঠেন।

Advertisement
আনন্দ উৎসব ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৫ অক্টোবর ২০২৫ ২০:৩৭
Share:
০১ ১২

আলো ঝলমলে চন্দননগর বা কৃষ্ণনগরের রাজকীয়তা, জগদ্ধাত্রী পুজো বললেই প্রথম এমন সব ছবিই ভেসে ওঠে। বিশাল আয়োজন আর মানুষের উপচে পড়া ভিড়। কিন্তু একটু খোঁজ নিলেই বোঝা যায়, গঙ্গা পেরিয়ে এ শহরেও আছে বহু বনেদি বাড়ি, যেখানে আজও প্রদীপের আলোয় মা জগদ্ধাত্রী জেগে ওঠেন।

০২ ১২

সেই সব পুজোর গল্প ২৫০ বছরেরও বেশি পুরনো। সময়ের আঁচ লেগেছে ঠিকই, কিন্তু ঐতিহ্যের কারুকাজে এতটুকু মরচে পড়েনি।

Advertisement
০৩ ১২

সেই সব পুজোয় মিশে আছে জমিদার বাড়ির সাবেকিয়ানা আর দেবীর প্রতি গভীর বিশ্বাস।

০৪ ১২

কলকাতার কলেজ স্ট্রিট এলাকার মদন গোপাল দে-র বাড়ির পুজো, যার বয়স প্রায় ১৩০ বছর। চন্দননগর থেকে শুরু হলেও, এই পুজোটি এখনও পরিবারের পৈতৃক ভিটেয় বৈষ্ণব রীতি মেনে উদ্‌যাপন হয়। কথিত আছে, মদন গোপাল দে স্বপ্নাদেশ পেয়ে পুজো শুরু করেছিলেন। এখানকার বিশেষ আকর্ষণ হল ধুনো পোড়ানোর সেই পুরনো প্রথা।

০৫ ১২

এর পরেই উঠে আসে উত্তর কলকাতার আরও দুই পুজোর কথা—ঠনঠনিয়া কালীবাড়ির কাছেই ঠনঠনিয়া দে বাড়ির পুজো। ঠনঠনিয়ার দে বাড়িতে ১৮৯৭ সাল থেকে নবমীর দিনে মা পূজিত হয়ে আসছেন।

০৬ ১২

চোরবাগান মৈত্র বাটির পুজো আরও পুরনো, প্রায় ২৫০ বছরের! রাজশাহী থেকে এই পরিবারের শিকড় এলেও, বর্তমানে ১, মুক্তারাম বাবু দ্বিতীয় লেনে পুজো চলে। মাত্র এক বার পুজো বন্ধ থাকার ইতিহাস আছে। লোকমুখে প্রচলিত, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরই এই বাড়ির নাম দিয়েছিলেন 'মৈত্র বাটি'। এখানকার মায়ের দু’পাশে জয়া ও বিজয়ার দু’টি মূর্তি নজর কাড়ে।

০৭ ১২

শোভাবাজারের বটকৃষ্ণ পালের জগদ্ধাত্রী পুজোর বয়সও ১০০ পেরিয়েছে। হাওড়ার শিবপুর থেকে কলকাতায় এসে ওষুধের দোকান স্থাপন করেছিলেন বটকৃষ্ণ পাল। এই পুজোয় দেবীমূর্তির দু’পাশে দুই সখী বিরাজমান, যা মন টানে। বিশেষ করে তামার তৈরি চালচিত্র, যেখানে সোনা ও রূপার প্রলেপ দেওয়া, তা দেখার মতো।

০৮ ১২

১৭৫২ সালে শুরু হয়েছিল দুর্গাচরণ মিত্রের জগদ্ধাত্রী পুজো। এখানকার পুজো হয় শাক্ত রীতি অনুযায়ী। আগে বলিদানের প্রথা থাকলেও, এখন তা বন্ধ। শিউলি ফুলের কাণ্ডের মতো দেবীর মুখের রং আর ঘোটকমুখী সিংহ এই পুজোর অন্যতম বৈশিষ্ট্য।

০৯ ১২

এ ছাড়াও, দুশো বছরেরও বেশি পুরনো ছাতুবাবু ও লাটুবাবুর বাড়ির পুজো—যেখানে রামদুলাল দে ১৭৮০ সালে পুজো শুরু করেছিলেন। এখানে কাঠের সিংহাসনে মা আসীন। তান্ত্রিক মতে পুজো হলেও ভোগ নিরামিষ।

১০ ১২

আর বউবাজারের নীলমণি দে ঠাকুরবাড়ির ১৩৫ বছরের পুরনো পুজোয় নবমীর দিনে হয় চারটি আলাদা পুজো।

১১ ১২

চন্দননগরের জাঁকজমক থেকে কলকাতার এই সব বনেদি বাড়ির আন্তরিকতা—প্রতিটি পুজোয় জড়িয়ে আছে এক একটি গল্প, যা সবার ঐতিহ্যের শিকড়কে আরও শক্ত করে ধরে রাখে।

১২ ১২

এই পুজোয় কলকাতার ঐতিহ্যবাহী পুজোগুলি থেকে ঘুরে আসলে মন্দ হয় না! (এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ)।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement