প্রতীকী চিত্র
মধ্যমগ্রামের সিলভার স্পেস আবাসনকেন্দ্রের দুর্গাপুজো বয়সে নবীন হলেও ইতিমধ্যেই দর্শনার্থীদের মধ্যে ভাল সাড়া ফেলে দিয়েছে। এ বার তাদের পুজো ছ'বছরে পড়বে। পুজোর থিম 'ময়ূর বিশ্ব'।
এই পুজোর সঙ্গেই যুক্ত রয়েছেন শিল্পী তন্ময় পাল। প্রতিমা নির্মাণের দায়িত্বে রয়েছেন তিনিই। তন্ময় জানালেন, ভারতের জাতীয় পাখি ময়ূর অসামান্য সৌন্দর্য্যের প্রতীক। একই ভাবে তাঁদের এ বারের পুজোর থিমেও সেই রাজকীয় সৌন্দর্য্যের ছোঁয়া থাকবে! চোখ ধাঁধানো সেই আবহের মাঝেই বিরাজ করবেন মহামায়া। তাঁর ঐশ্বরিক রূপ মানুষকে একই সঙ্গে মুগ্ধ ও বিস্মিত করবে বলে আশাবাদী পুজোর উদ্যোক্তারা।
তাঁদের মতে, ময়ূরপুচ্ছ ভগবান শ্রীকৃষ্ণের অঙ্গসজ্জার অন্যতম উপকরণ। যার ফলে বৈষ্ণব ধর্মেও ময়ূরপুচ্ছের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। অন্য দিকে, দেবী দুর্গা হলেন আদি শক্তির এক রূপ। শক্তি-সাধকরা তাঁকে নানা রূপে পুজো করেন। এই প্রেক্ষাপটে তাঁদের এ বারের শারদোৎসবের আয়োজনে ময়ূরপুচ্ছ সদৃশ সাজসজ্জা ব্যবহার করে আদতে উদ্যোক্তারা দু'টি ভিন্ন ধারার ঐশ্বরিক দর্শনকে এক সূত্রে বাঁধার এক অনন্য প্রয়াস করতে চেয়েছেন।
তন্ময় আরও জানিয়েছেন, এ বারের প্রতিমার আদল সাবেকি ধাঁচে হলেও এক চালার ঠাকুর তাঁরা গড়ছেন না। বস্তুত, সমগ্র প্রতিমা তিনটি পৃথক ভাগে নির্মাণ করা হচ্ছে।
এ দিকে, এ বারের এই শারদ-আয়োজনে আবাসনের মহিলারাই নেতৃত্ব দিচ্ছেন। আদি শক্তির আরাধনায় নারী শক্তির এই সম্মিলিত যোগদান বিশেষ বার্তাবাহী। সমাজে স্ত্রী জাতির অবদানকে কুর্নিশ জানাতে এবং নারীর ক্ষমতায়ন প্রতিষ্ঠিত করতেই পুজোর দায়িত্ব স্থানীয় মহিলাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, বোধন থেকে শুরু করে বিসর্জন - পুজোর এই ক'টা দিন সমস্ত চিরন্তন রীতি মেনেই উমার আরাধনা করা হবে। পাশাপাশি, প্রতি দিন সন্ধ্যায় থাকবে বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। নাচে, গানে তুলে ধরা হবে বাঙালির ঐতিহ্য, আবেগ ও কৃষ্টি।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।