প্রতীকী চিত্র
সপ্তমীর সকাল মানেই পুজো মণ্ডপে, ঠাকুর দালানে নবপত্রিকার প্রবেশ। সপত্র কলাগাছের সঙ্গে সাদা অপরাজিতা লতা দিয়ে নয়টি উদ্ভিদ বেঁধে, স্নান করিয়ে লাল পাড় সাদা শাড়ি পরিয়ে ঘোমটা দিয়ে বধূ বেশে সাজানো হয় তাকে। ন’টি গাছের মধ্যে থাকে কদলী বা রম্ভা (কলাগাছ), কচু, হরিদ্রা (হলুদ), জয়ন্তী, বিল্ব (বেল), দাড়িম্ব (ডালিম), অশোক, মান ও ধান। এই নয়টি উদ্ভিদ মা দুর্গার নয়টি শক্তির প্রতীক। আদতে নবপত্রিকা হলেন দেবী দুর্গা। মন্ত্রেই রয়েছে ‘নবপত্রিকাবাসিন্যৈ নবদুর্গায়ৈ নমঃ’।
দেবী দুর্গা ও গণেশের ডান পাশে লাল পাড় সাদা শাড়িতে ঘোমটা ঢাকা অবস্থায় দেখা যায় নবপত্রিকাকে। কিন্তু বাংলার অন্যতম প্রাচীন এক পুজোয় নবপত্রিকাকে থান পরানো হয়। আপাত ভাবে দেখে মনে হয়, যেন বিধবার বেশ!
প্রায় পাঁচশো বছর আগে খড়দহের গোস্বামীপাড়ার ‘মেজবাটি’তে দুর্গাপুজো শুরু করেন প্রভু নিত্যানন্দ। দেবী এই বাড়িতে কাত্যায়নী রূপে পূজিতা হন। দেবীর সঙ্গে লক্ষ্মী ও সরস্বতীর বদলে দুই সখী জয়া-বিজয়া থাকেন। থাকেন কার্তিক ও গণেশ। নবপত্রিকার পরনে থাকে সাদা থান। পাঁচ শতক আগে বিধবা বিবাহের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করেছিলেন নিত্যানন্দ? সে কারণেই কি তিনি সাদা থানে সাজিয়েছিলেন নবপত্রিকাকে?
জনশ্রুতি অনুযায়ী, নবপত্রিকাকে স্নানের পরে নতুন বস্ত্র পরাতে হবে। মাধুকরীতে বেরোলেন নিত্যানন্দ। দান হিসাবে পেলেন থান কাপড়। স্বামী বিয়োগের পরে হিন্দু মহিলারা থান পরেন। দানের সেই থানটিই নিত্যানন্দ পরিয়ে দিলেন নবপত্রিকাকে। সধবার প্রতীক হিসাবে থানের উপর লম্বা টানে সিঁদুরের দাগ কেটে দিলেন। আরও একটি কাহিনি শোনা যায়। নিত্যানন্দ দুর্গাপুজোর আয়োজন করেছেন শুনে যে যাঁর সামর্থ্য মতো কিছু না কিছু নিয়ে হাজির হন অনেকেই। এক বৃদ্ধা আনেন সাদা থান। তা দেখে সকলে অবাক। ভক্তের আনা উপহার নিত্যানন্দ ফেরাননি। বরং নবপত্রিকাকে সেই থান পরিয়ে দেন। সে প্রথা আজও চলে আসছে।
‘আনন্দ উৎসব ২০২৫’-এর সাফল্যের নেপথ্যে রয়েছেন একাধিক সহযোগী। প্রেজ়েন্টিং পার্টনার ‘মারুতি সুজ়ুকি অ্যারেনা’। অন্যান্য সহযোগীরা হলেন ওয়েডিং পার্টনার ‘এবিপি ওয়ানস্টপ ওয়েডিং’, ফ্যাশন পার্টনার ‘কসমো বাজ়ার’, নলেজ পার্টনার ‘টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি’, ব্যাঙ্কিং পার্টনার ‘ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া’, কমফোর্ট পার্টনার ‘কার্লন’।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।