আর মাত্র কয়েকটা দিনের অপেক্ষা। তার পরই আলোর উৎসবে ভাসবে শহর কলকাতা ও তার আশপাশের এলাকা। এ বারের কালীপুজোয় ঠাকুর দেখতে বেরোবেন তো? তা হলে, জেনে নিন, কলকাতা ও লাগোয়া শহরতলির সেরা পুজোগুলির ঠিকানা। গত বছর যারা পুজোর আয়োজন করে মহামুকুট মহাসম্মান লাভ করেছিল, তাদের মধ্যে এগুলি অন্যতম। (প্রতীকী ছবি)
গড়ফা বালক সংঘ: এটি এদের পুজোর ৪৮তম বর্ষ। আয়োজকদের এ বারের থিম ভাবনা হল - কালপ্রিয়া। যার রূপায়ণে রয়েছেন গৌরাঙ্গ দাস। প্রতিমা নির্মাণের দায়িত্ব পালন করছেন সায়ন পাখিরা।
ত্রিভুবন ক্লাব: গত বছর এদের আয়োজন নজর কেড়েছিল। তাই, এ বারও এই পুজো নিয়ে উদ্দীপনী রয়েছে। সরসুনা সোনামুখী রোডের দাসপাড়া এলাকায় সোনামুখী বাজারের কাছে এই পুজোর আয়োজন করা হয়।
মৈনাক ক্লাব: দক্ষিণ কলকাতার বারোয়ারি কালীপুজোগুলির মধ্যে অন্যতম হল মৈনাক ক্লাবের আয়োজন। এ বার তাদের পুজোর ৫০ বছর পূর্তি হচ্ছে। সুবর্ণ জয়ন্তীতে তাদের উপস্থাপনা হল - প্রতিবাদী নারীর দেবী হয়ে ওঠার কাহিনি! যা রূপায়িত করবেন শিল্পী দীপাঞ্জন দে।
শ্রী কলোনি সমাজ সংঘ: রূপ নিকেতন কলাকেন্দ্রের কাছেই এই কালীপুজোর আয়োজন করা হয়। গত বছরের উপস্থাপনা ছিল চোখে পড়ার মতো। এ বারও তার ব্যতিক্রম হবে না বলেই আশা করা হচ্ছে।
বিজয়গড় ৬ পল্লী সর্বজনীন শ্যামা পূজা কমিটি: এদের পুজোর বয়স মাত্র ১৩ বছর। থিমের নামকরণ করা হয়েছে - 'বহমান'! যার সৃজনে রয়েছেন সুশোভন রায়। আলোক সজ্জার দায়িত্ব পালন করছেন প্রেমেন্দ্র বিকাশ চাকী। প্রতিমা তৈরি করছেন দীপেন মণ্ডল। মণ্ডপের আবহ সঙ্গীত নির্মাণ করছেন দেবায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়। এবং গবেষণা সংক্রান্ত যাবতীয় কাজ সামলাচ্ছেন পৌলমী দাস।
শ্যামা পল্লী শ্যামা সংঘ: যাদবপুরের সুলেখা মোড়ে, সুকান্ত সেতুর ঠিক বিপরীতে পুজোর মণ্ডপ নির্মাণ করা হয়। এটি দক্ষিণ কলকাতার অন্যতম জনপ্রিয় বারোয়ারি কালীপুজো।
জপুর জয়শ্রী: দমদম জংশন লাগোয়া দমদম রোড বরাবর একাধিক বারোয়ারি কালীপুজো হয়। যাদের মধ্যে ইতিমধ্যেই নজর কেড়েছে জপুর জয়শ্রীর আয়োজন। এ বছরও তাদের শ্যামাপুজো নিয়ে মানুষের মধ্যে উৎসাহ রয়েছে।
গিরীশ পার্ক ৫ স্টার স্পোর্টিং ক্লাব: গিরীশ পার্ক মেট্রো স্টেশন থেকে এই পুজো মণ্ডপটি কাছেই পড়বে। এ বারের কালীপুজোয় তাদের প্রতিমা বেশ বড় আকারের করা হচ্ছে।
দক্ষিণ দমদম অ্যাভিনিউ স্পোর্টিং ক্লাব: দক্ষিণ দমদমের এই পুজোটি যথেষ্ট নজরকাড়া হয়। এ বারও তাদের আয়োজন নিয়ে সকলের উৎসাহ রয়েছে। (প্রতীকী ছবি)
গত বছর কালীপুজোর আয়োজনে নজর কেড়েছিল বি টি রোড লাগোয়া ক্লাব - হাওয়া সকাল। ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিসটিক্যালের ঠিক উল্টো দিকের এই ক্লাবটি এ বার কী করে, তা নিয়ে মানুষের আগ্রহ রয়েছে।
শিলপাড়া বাস স্টপ সংলগ্ন বড়িশা শান্তি সংঘের কালীপুজোও হয় নজরকাড়া। এ বছরও তার ব্যতিক্রম হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে।
চণ্ডীতলা অটো স্ট্যান্ডের কাছেই রয়েছে রায় বাহাদুর রোড আমরা মিলন তীর্থ ক্লাব। কালীপুজোর ঠাকুর দেখতে যেতে পারেন সেখানেও। (এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।)