দেবীর নামেই একদা শহরের নাম হয়েছিল ‘নন্দীপুর’। এখন অবশ্য তা পুরোপুরি সাঁইথিয়া। দেবী নন্দিকেশ্বরীই এই শহর এবং সংলগ্ন এলাকার আরাধ্যা দেবী।
বীরভূমের অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র এই সাঁইথিয়া।
মোট পাঁচটি সতীপীঠ বীরভূমে। বক্রেশ্বরে দেবী মহিষমর্দিনী, লাভপুরে দেবী ফুল্লরা, বোলপুরের কাছে কঙ্কালীতলা, নলহাটীতে নলাটেশ্বরী এবং সাঁইথিয়ায় দেবী নন্দীকেশ্বরী।
এখানকার নন্দীকেশ্বরীর মন্দির বীরভূমের ৫টি সতীপীঠের মধ্যে অন্যতম একটি স্থান।
কথিত, এখানেই নাকি পড়েছিল সতীর কণ্ঠহার। সেই থেকেই এটি অন্যতম একটি তীর্থস্থান হিসেবে দর্শনার্থীদের কাছে বহুল আলোচিত।
মন্দিরটি নির্মিত হয় আনুমানিক ১৯১৩ সালে।
দেবী নন্দীকেশ্বরী এখানে কচ্ছপের আকারের একটি পাথরের উপরে অধিষ্ঠিত। তবে মূল মন্দিরে দেবীর কোনও মূর্তি নেই।
বলা হয়, মহাদেবের বাহন নন্দী দেবীর পুজো করতেন বলেই তাঁর এমন নামকরণ।
সাঁইথিয়া স্টেশনের একদম কাছেই এই মন্দির। বলা যেতে পারে, শহরের একেবারে কেন্দ্রস্থলে নন্দীকেশ্বরীর অবস্থান।
এই রাজ্যের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ শহরের সঙ্গে সাঁইথিয়া যাতায়াতের সরাসরি বাস এবং ট্রেনের যোগাযোগ রয়েছে। কাজেই এই সতীপীঠ দর্শনে পর্যটকদের আগমনও বেড়ে চলেছে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে। (এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।)