মুর্শিদাবাদ জেলার কিরীটকোনা গ্রাম। বলা হয়, সেখানেই নাকি ভাগীরথী নদীর তীরে তাঁর বাস। যে কোনও বিপদ হোক বা রোগব্যাধি, ভক্তরা দ্বারস্থ হন তাঁরই।
দেবী কিরীটেশ্বরীর মন্দির। বাংলার সতীপীঠগুলির মধ্যে অন্যতম পবিত্র এই স্থান পূজিত হয়ে আসছে দশকের পর দশক ধরে।
কথিত, এই স্থানেই নাকি দেবী সতীর ‘কিরীট’ অর্থাৎ মুকুটের কণা বা ললাটের নিম্ন ভাগ পতিত হয়েছিল। সেই থেকেই এই স্থানের নাম হয় ‘কিরীটেশ্বরী’।
এখানে দেবীর অপর নাম ‘মুকুটেশ্বরী’।
দেবীর এখানে কোনও মূর্তি পুজো হয় না।
বরং মূল মন্দিরে লাল কাপড়ে মোড়া একটি শিলামূর্তিই পূজিত হয় দক্ষিণাকালী রূপে।
সারা বছরই ভক্তদের আনাগোনা। তবে কালীপুজোর রাতভর চলে আরাধনা।
পুজোয় পাঁঠা বলি দেওয়ারও প্রথা রয়েছে।
এই তীর্থস্থানকে ঘিরে অজস্র জনশ্রুতি। জানা যায়, নাটোরের রানি ভবানী নিজে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এই মন্দির।
পরবর্তীতে লালগোলার রাজা দর্পনারায়ণ রায় নতুন করে নির্মাণ কার্যে হাত দেন।
এক বার মুর্শিদাবাদের নবাব মীর জাফরও নাকি কুষ্ঠরোগ থেকে মুক্তিলাভের আশায় পান করেছিলেন দেবীর চরণামৃত। (এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ)।