‘মারব এখানে, লাশ পড়বে শ্মশানে…’ ‘ফাটাকেষ্ট’ মিঠুন চক্রবর্তীর মুখে এই সংলাপ কার না অজানা!
তবে পর্দার নয়, বরং শহর কলকাতায় আসলেই প্রথম ডন ছিলেন কৃষ্ণচন্দ্র দত্ত ওরফ ‘ফাটাকেষ্ট’। আর তাঁরই হাত ধরে জনপ্রিয়তা পায় কলকাতার এই ‘ফাটাকেষ্ট’ কালীপুজো।
১৯৯২ সাল, হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয় মৃত্যু হয় তাঁর।
বর্তমানে সেই দাপুটে ব্যক্তিত্ব আর নেই। তবে এখনও সাড়ম্বরেই উদ্যাপন হয়ে আসছে তাঁর বহু আলোচিত এই কালীপুজো।
সুবিশাল দেবীপ্রতিমা, গাঢ় নীল গাত্রবর্ণ, পটল চেরা চোখ- অপূর্ব এই দেবী প্রতিমা থেকে যেন নজর ফেরানো দায়।
দুর্গাপুজোর পর ঠিক কালীপুজোর ১০ দিন আগেই কুমোরটুলিতে দেবীর চক্ষুদান করা হয়।
পুরনো কলকাতার অন্যতম জাঁকজমকপূর্ণ পুজো ছিল এটি। এখন জৌলুস খানিক ফিকে হলেও, বিশাল শোভাযাত্রার মাধ্যমে ঠাকুরকে নিয়ে আসা হয় পুজোর স্থানে।
শুধু কলকাতা কেন, দেবীর কাছে মানত করে থাকেন শহরের বাইরের বহু মানুষও। মনস্কামনা পূর্ণ হলে নিজেরাই ছুটে আসেন তাঁরা।
ঠিক যেমন করে ভিড় জমাতেন অমিতাভ বচ্চন থেকে শুরু করে আরডি বর্মন-সহ তাবড় তাবড় তারকারা। তালিকায় ছিলেন উত্তম কুমার, আশা ভোঁসলেও।
শুধু আড়ম্বর নয়, দেবীর পুজো হয় ভক্তি ভরে।
এমনও শোনা যায়, কুমোরটুলি থেকে ফাটাকেষ্টর ঠাকুর না বেরোলে নাকি অন্য কোনও ঠাকুর মণ্ডপে যায় না।
উত্তর কলকাতার আমহার্স্ট স্ট্রিট এবং একটু এগোলে কলেজ স্ট্রিটের বইপাড়া। এখানেই এক গলির মধ্যে উঁকি দিলেই দেখা পাওয়া যাবে দেবীর। ( এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ)।