কার্তিক মাসের অমাবস্যা তিথি। এই দিনেই আলোর রোশনাইয়ের মাঝে পূজিত হবেন সমস্ত শ্যামারা।
পুরাণ জুড়ে কতই না ‘কালী’কাহন। শতাব্দী পেরিয়েও শহরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কালীরা পূজিত হয়ে আসছেন স্বমহিমায়।
তবে মেদিনীপুরের এই দেবী বাকিদের থেকে একটু আলাদা। তিনি হলেন কাঁথকালী।
শহরের প্রাচীন মন্দিরগুলির মধ্যে কাঁথকালীর মন্দির অন্যতম।
এখানে দেবীমূর্তি খোদাই করা দেওয়াল অর্থাৎ কাঁথে। আর সেই কারণেই এখানে দেবী ‘কাঁথকালী’।
কথিত, কোনও এক কালে এই মাটির দেওয়ালেই এক সাধু শুরু করেন কাঁথকালীর পুজো।
পরে অবশ্য এই দায়িত্ব হাত বদল হয়ে এসেছে এলাকার স্থানীয় কমিটির কাছে।
৪০০ বছর ধরে এ ভাবেই পুজো হয়ে আসছে দেবীর। ফল ও নৈবেদ্যের সঙ্গে ছাগ বলির আয়োজন করা হয় পুজোয়।
দেবীর ভোগেও রয়েছে এলাহি ব্যাপার। প্রায় দুই কুইন্টালের উপর ভোগ নিবেদন করা হয় তাঁকে।
কেবলমাত্র এই উদ্দেশ্যেই নাকি গড়ে তোলা হয়েছে ভোগ গৃহ।
মূলত তান্ত্রিক মতে পূজিত হওয়া দেবীর কোনও বিসর্জন হয় না। তবে কালীপুজোর পরে আয়োজন করা হয় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার।
ঢাক-ঢোলের বাদ্যির তালে মেতে ওঠে গোটা শহর। (এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ)।