পুজো এবং বনেদি বাড়ি, দু’য়ের সম্পর্ক কিন্তু বড়ই মধুর।
নিজের চোখে পুজোর প্রস্তুতি চাক্ষুষ করার এই লোভ কে-ই বা সামলাতে পারে।
প্রতি বছর এ ভাবেই একটু একটু করে প্রতিমা গড়া থেকে দেবীর পুজো- সব কিছুরই সাক্ষী থাকেন পশ্চিম বর্ধমান জেলার সিলামপুর বড় কালী মন্দিরের সঙ্গে যুক্ত মানুষজন।
৩২৮ বছর পুরনো এই বাড়ির কালীপুজোর প্রস্ততি শুরু হল সদ্যই।
দেবীর আরাধনায় আর খুব বেশি দেরি নেই। তাই বেশ জোরকদমেই চলছে প্রস্তুতি।
ত্রয়োদশী থেকে একটু একটু করে প্রাণ ঢালা হচ্ছে প্রতিমায়।
এ ক্ষেত্রেও রয়েছে বিশেষত্ব। তিন প্রকার মাটি মিশিয়ে গড়া হয় এই পুজোর প্রতিমা।
প্রথমে খড় দিয়ে কাঠামো তৈরি, তার উপরে মাটির প্রলেপ। শিল্পী সন্তোষ সূত্রধরের হাতের নিপুণ শৈলীতে সবই যেন জীবন্ত।
পুজোর পুরোহিত থেকে শুরু করে বাজনদার, কুমোর, সহকারী- সকলেই বংশ পরম্পরায় যুক্ত এই পুজোর সঙ্গে।
প্রতি বছর ঠিক এ ভাবেই মন্দিরের ভিতরে দেবীর মূর্তি নির্মিত হয়। (এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।)