প্রতীকী চিত্র।
একে একে সমস্ত ঠাকুর বিদায় নিয়েছেন। উৎসবের মরসুম শেষ। তবে পুজোর সময় যে কবজি ডুবিয়ে ভূরিভোজ চলেছে সেটা কিন্তু এখনও চালিয়ে যেতে পারেন। সদ্যই ইএম বাইপাসে খুলেছে কলকাতা ধাবা। প্রাণের শহরের নানা রকমের পদ এখানে পাওয়া যাবে।
কিন্তু দোকানের নাম কলকাতা ধাবা কেন? কলকাতা ধাবার তরফে আনন্দবাজার ডট কমকে জানানো হয়, "দক্ষিণ ২৪ পরগনা, মূলত গড়িয়া বা তার আশেপাশের বাসিন্দাদের ভাল খাবার খেতে এত দিন যেতে হত কলকাতার দিকে, মানে পার্ক সার্কাস, খিদিরপুর, রুবি, ইত্যাদি। আমাদের এই দোকানের নাম কলকাতা ধাবা রাখার নেপথ্যে এটা অন্যতম কারণ। কলকাতার সংস্কৃতি, কলকাতার রাতের জীবন, সকালের যে জীবন মানে কোথাও জলখাবার খেতে চলে যাওয়া... এই জিনিসগুলি ভেবে শ্যামবাজারের কিছু, কোনওটা আবার খিদিরপুরের, তো কোনওটা রুবির, সবটা মিলিয়ে এই কলকাতা ধাবা। নামটা একটা নির্দিষ্ট কোনও কারণের জন্য।"
জানা গিয়েছে আগামী পয়লা নভেম্বর থেকে দুপুর সাড়ে বারোটা থেকে চিকেন, মটন, ভেজ থালি পাওয়া যাবে। মুঘলাই খাবারের মধ্যে থাকবে চিকেন বিরিয়ানি, মটন বিরিয়ানি, ইত্যাদি। তবে এগুলো বিকেল থেকে পাওয়া যাবে। গ্রেভি আইটেমও থাকবে, যেমন চিকেন কষা, মটন কষা, চিকেন চাপ, মটন চাপ, চিকেন ভর্তা, পনির বাটার মশলা, ইত্যাদি। কাবাবও পাওয়া যাবে, যেমন রেশমি কাবাব, টিক্কা কাবাব, ইত্যাদি। তন্দুর তো থাকবেই। চাইনিজ এবং অন্যান্য ভারতীয় খাবারও থাকবে। ভবিষ্যতে দক্ষিণ ভারতীয় খাবারও থাকবে, কিন্তু কলকাতা স্টাইলে।
যেহেতু ধাবা তাই প্রায় গোটা দিনই খোলা থাকবে এই রেস্তোরাঁ। আগামী ১ নভেম্বর থেকে ভোর ৬ থেকে রাত ৪টে পর্যন্ত রোজ খোলা কলকাতা ধাবা। নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত, উচ্চবিত্ত মানুষ সকলেই যাতে আসতে পারেন সে ভাবে দাম রাখা হয়েছে।
কিন্তু কোথায় এটি অবস্থিত? কামালগাজি পেপসি কোম্পানির পাশেই এটি অবস্থিত। মেট্রো করে আসলে নামতে হবে শহিদ ক্ষুদিরাম স্টেশনে, আর বারুইপুর বা ক্যানিং মানে ট্রেনে এলে গড়িয়া স্টেশনে নেমে আসতে হবে।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।