প্রতীকী চিত্র।
জগদ্ধাত্রী পুজোর সঙ্গে যেন ওতপ্রোত ভাবে জড়িত চন্দননগর শহরের নাম। বিজয়া দশমী এবং কালীপুজো, উভয়রই বিদায়ের সুর অনেক আগে বেজে গেলেও চন্দননগর জুড়ে উৎসবের রং এখনও ফিকে হয়নি। বরং নতুন করে শহর সেজে উঠেছে জগদ্ধাত্রী পুজোর রোশনাইতে।
এই উৎসবের আমেজ শুরু হয়ে যায় অনেক আগে থেকেই। যখন মণ্ডপে মণ্ডপে একটু একটু করে মাটি পড়তে থাকে দেবীর কাঠামোতে। হ্যাঁ, চন্দননগরের সমস্ত প্রতিমা তৈরি হয় মণ্ডপেই। কিন্তু জানেন কি, এর নেপথ্যের কারণ? কেন কলকাতার মতো চন্দননগরে নেই কোনও ‘কুমোরটুলি’?
চন্দননগরে পা দিলেই দেখা মিলবে সুবিশাল সব জগদ্ধাত্রী প্রতিমা। উত্তর লুকিয়ে এখানেই। এখানকার প্রতিমাগুলি আকৃতিতে বিশাল হওয়ার কারণেই শুরু থেকেই সেগুলির প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হয় নিজ নিজ মণ্ডপেই। বিভিন্ন ক্লাবের উদ্যোক্তারা জানান, এক একটি প্রতিমার উচ্চতা হয় ২০-২২ ফুট এমনকি তারও বেশি। কোনও কোনওটির উচ্চতা ছোঁয়ে ২৫ ফুটও। এর উপর থাকে দেবীর সাজসজ্জা। সব মিলিয়ে সেই উচ্চতা হয়ে দাঁড়ায় ৩০ ফুটের কাছাকাছি। তাই এত বড় দেবীমূর্তি অন্য জায়গায় তৈরি করা এবং সেটিকে মণ্ডপে নিয়ে আসা, উভয়ই প্রায় দুষ্কর। এ ছাড়াও প্রতি বছর থিমের ভিত্তিতে পরিবর্তিত হয় সেই সব উচ্চতার দৈর্ঘ্য।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।