সামনেই ভাইফোঁটা, ভাই-বোনের সম্পর্ককে দৃঢ় করার উৎসব। এ দিন মঙ্গলকামনার পাশাপাশি চলে উপহার আদান-প্রদান।
প্রতি বছর এই একটা দিনে উপহারের কথা ভাবতে গিয়ে অনেকেই বেজায় চিন্তায় পড়েন। কারণ, বোনের যত্নের আর আনন্দের সঙ্গে ভাই বা দাদাদের খানিক উদাসীনতা জড়িয়ে থাকে। আবার দু'জনের পছন্দের আকাশ-পাতাল তফাৎ! তাই চেনা ছকের বাইরে একটু অন্য রকম, মন-ছোঁয়া উপহারের কথা ভাবতে হবে এই বছর।
উপহারের তালিকায় প্রথমেই রাখা যেতে পারে কফি মগ বা চা-এর সেট। শীতকাল আসছে, তাই ভাল মানের কফি বা দার্জিলিং চায়ের সেট দেওয়া যেতে পারে। বাজেট একটু বেশি থাকলে কফি মেকার বা কেটল-সহ একটি সেট বানিয়ে উপহার দিলে মন্দ হয় না।
সুগন্ধি মোমবাতির সঙ্গে মোমবাতিদানিও সুন্দর উপহার হতে পারে। এখন অনেকেই বাড়িতে তৈরি সুন্দর হাতে তৈরি মোমবাতি বিক্রি করেন। ঘরের সাজ-সজ্জায় এমন মোমবাতির দারুণ কদর রয়েছে।
যাদের বাগানের শখ, তাদের জন্য গাছের চারা এক দারুণ উপহার। ইন্ডোর বা আউটডোর প্ল্যান্ট, অথবা এই শীতকালে রকমারি ফুলের চারাও উপহারের তালিকায় রাখা যায়। সঙ্গে পছন্দসই টব দিলে উপহারের আকর্ষণ আরও বাড়ে।
এ ছাড়াও ড্রাই ফ্রুটস বা পছন্দের খাবারের হ্যাম্পার খুব কাজের। যে কোনও ‘ফুডমার্টে’ই বড় গিফট হ্যাম্পার পাওয়া যায়।
কাজের চাপে যারা বাইরে একা থাকেন, তাদের জন্য রেডি-টু-ইট কিছু খাবার এক সঙ্গে করে উপহার হিসেবে দেওয়া যায়, যা তাদের চটজলদি খাওয়া-দাওয়ায় সাহায্য করবে।
স্বাস্থ্য সচেতন ভাই বা দাদার জন্য ভাল ফিটনেস ব্যান্ড, জিমের বোতল কিংবা প্রোটিন পাউডারও দেওয়া যেতে পারে।
আরও কিছু জিনিসের কথা ভাবা যেতে পারে। যেমন – একটি স্মার্ট ওয়াচ, যা সময়ের পাশাপাশি স্বাস্থ্যেরও খেয়াল রাখবে। প্রযুক্তির প্রতি আগ্রহ থাকলে একটি গেমিং কনসোল দারুণ চমক দিতে পারে।
এ ছাড়া বই বা ল্যাপটপ ব্যাগ দৈনন্দিন জীবনে খুব প্রয়োজনীয়।
পছন্দের ব্র্যান্ডের স্পিকারও উপহার হিসেবে দেওয়া যায়।
মনে রাখতে হবে, উপহার যেমনই হোক, তার সঙ্গে জড়িয়ে থাকা আবেগ আর ভালবাসাটাই ভাইফোঁটার দিনে সবচেয়ে দামী। এই বিশেষ দিনের সকালে হাসিমুখে দেওয়া ছোট উপহারও হয়ে উঠতে পারে স্মৃতির এক টুকরো আলো। (এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ)।