সংগৃহিত চিত্র
পুজোর আগে শহর যেন এমনই সৃজনশীলতার ক্যানভাসে পরিণত হয় থিম পুজোর হাত ধরে। এ বার তাতে অন্য এক মাত্রা যোগ হতে চলেছে। পুজোর ঠিক মুখেই কলকাতায় অনুষ্ঠিত হতে চলেছে তিন দিন ব্যাপী ‘দ্য সিসিইউ ফেস্টিভ্যাল’ ২০২৫ এবং কলকাতা ট্যাটু ফেস্টিভ্যাল। আগামী ১৯ থেকে ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে এই অনুষ্ঠান। নিউটাউনের বিশ্ব বাংলা এক্সিবিশন সেন্টারে এই তিন দিন ধরে বিভিন্ন ধরনের সৃজনশীল কর্মকাণ্ড চলবে। কী থাকবে না তাতে? গান থেকে বাজনা, কমেডি থেকে ব্যবসা, ট্যাটু থেকে নাচ সমস্ত কিছুই।
‘দ্য সিসিইউ ফেস্টিভ্যাল’ এবং ‘কলকাতা ট্যাটু ফেস্টিভ্যাল’-এর প্রথম দিন স্টার্টআপ (STRTUP)-এর মাধ্যমে শহরের বুকে ফের উদ্ভাবনী শক্তির প্রসার ঘটানোর প্রয়াস করা হবে। এখানে বিনিয়োগকারী এবং নতুন সংস্থার নির্মাতাদের মধ্যে আলোচনার ব্যবস্থা থাকবে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, সহ নানা বিষয়ে বক্তব্য রাখবেন ভারতের গুগলের প্রধান, প্রমুখ। এই অনুষ্ঠানেই কলকাতার প্রথম ই-স্পোর্টস হাবের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হবে দেবাশিস সেনের উপস্থিতিতে।
সংগৃহিত চিত্র
একই সঙ্গে থাকবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও। ১৯ সেপ্টেম্বর ‘হুলিগানইজ়ম’ পারফর্ম করবে। সঙ্গে থাকবে দেবায়ন মজুমদার আয়োজিত এসরাজ ফেস্টিভ্যাল। ২১ সেপ্টেম্বর কমেডিয়ান আকাশ গুপ্ত তাঁর জোকসের মাধ্যমে হাসির ছররা ছোটাবেন। এ দিন থাকবে বিক্রম ঘোষ আয়োজিত ‘গ্লোবাল বেঙ্গল কনসার্ট’। এ ছাড়াও আরও একাধিক চমক থাকছে এই তিন দিন ব্যাপী অনুষ্ঠানে।
‘দ্য সিসিইউ ফেস্টিভ্যাল’ এবং ‘কলকাতা ট্যাটু ফেস্টিভ্যাল’-এর প্রসঙ্গে ‘মেক ক্যালকাটা রেলিভ্যান্ট এগেন’-এর প্রতিষ্ঠাতা মেঘদূত রায়চৌধুরী বলেন, “এটা নস্ট্যালজিয়া নয়, এটা ভালবাসার চিঠি আগামীর জন্য। ২০২২ সালে প্রথমবার ‘সিসিইউ ফেস্টিভ্যাল’ আয়োজিত হয়েছিল যেখানে ৪০০০ মানুষ এসেছিলেন। তিন বছর পর আবার আরও বড় আকারে এটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে, সঙ্গে রয়েছে ‘কলকাতা ট্যাটু ফেস্টিভ্যাল’। এই তিন দিন ধরে নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে সৃজনশীলতা, স্বাধীন ভাবে নিজেদের ভাবনাকে তুলে ধরবেন সকলে।” ‘কলকাতা ট্যাটু ফেস্টিভ্যাল’-এর প্রতিষ্ঠাতা নিলয় দাস বলেন, “বাংলার এই সংস্কৃতিতে ‘কলকাতা ট্যাটু ফেস্টিভ্যাল’ হল শিল্প এবং ভাবনার এক বিরাট উদ্যাপন। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ট্যাটু শিল্পীদের এক ছাতার তলায় আনছে এই অনুষ্ঠান। এটি শিল্প, সংস্কৃতি এবং ভালাবাসার এক দুর্দান্ত মেলবন্ধন যা একটি অবিস্মরণীয় ছাপ ফেলে যাবে, ঠিক যেমন শরীরের পার্মানেন্ট ট্যাটু।”
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।