কালীপুজো আসছে। আসছে ভূত চতুর্দশীও। তারই দিন দশেক আগে বেগুনকোদরের ভুতুড়ে কাণ্ড! পুরুলিয়ার এই স্টেশনকে ঘিরে কত না গল্প! রাত হলেই নাকি দেখা মিলত অশরীরীর, শোনা যেত অদ্ভুত সব আওয়াজ।
সেই ভয়েই নাকি এক সময়ের স্টেশন মাস্টার রাতারাতি সব ছেড়ে চলে গেলেন, বন্ধ হয়ে গেল জমজমাট রেলের কাজ।
আসলে ১৯৬০ সালে তৈরি হওয়া এই স্টেশনের ‘ভুতুড়ে’ তকমা পাওয়ার পিছনে ছিল স্থানীয় যুবকদের উৎপাত আর এক স্টেশন মাস্টারের ক্ষোভের গল্প।
মেয়েরা ইভটিজিংয়ের শিকার হচ্ছিল, বদলি চাইছিলেন তিনি।
বদলি মঞ্জুর না হওয়ায় ভূতের গল্প ফাঁদলেন। ব্যস! রটনা দ্রুত ছড়াল।
বহু বছর বন্ধ থাকার পরে স্থানীয়দের চেষ্টায় ২০০৭ সালে ফের চালু হয় দক্ষিণ-পূর্ব রেলের রাঁচি ডিভিশনের অন্তর্গত এই স্টেশনটি। তবে শর্ত ছিল, দিনেই থামবে ট্রেন।
এলাকার মানুষ প্রথম থেকেই ‘ভুতুড়ে’ নাম নিয়ে বিরক্ত। তাঁদের দাবি, সবই মিথ্যা। প্রশাসন এখন প্রমাণ করেছে, ভূত নেই।
তাই রাতেও ট্রেন থামছে, চলছে প্ল্যাটফর্মের সৌন্দর্যায়নের কাজও।
বামনিয়া গ্রামের কাছে হলেও বেগুনকোদর মৌজার নামেই পরিচিত এই স্টেশন। যা আপাতত ব্যস্ততার নতুন ঠিকানা হয়ে উঠেছে।
কালীপুজোর আগে এক বার ভূতচতুর্দশীর ভরা মরসুমে ঘুরে আসা যেতেই পারে এই গল্পে ভরা পুরনো স্টেশন থেকে! (এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ)।