উৎসবের মরসুম তো প্রায় শেষের দিকে। দীপাবলির রোশনাই কমলেই ফের একঘেয়েমি জীবনে ফেরা। এই শেষ কিছু দিন যদি কাটানো যায় প্রকৃতির কোলে, তা হলে কেমন নয়?
বছরের এই সময়টায় এমনই করে থাকেন ভ্রমনপিপাসুরা। ট্রাভেল ইন্ডাস্ট্রির পরিসংখ্যান বলছে, প্রতি বছর দীপাবলির সময়ে ট্যুর বুকিং বৃদ্ধি পায় প্রায় ২৮ শতাংশ। শহুরে উচ্চবিত্ত পরিবাররা ভ্রমণের প্রিমিয়ার অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য ৫০০০০ থেকে ১.৫ লক্ষ অর্থ পর্যন্ত ব্যয় করতে রাজি থাকেন।
উত্তরের বন্যার কারণে পাহাড় নিয়ে অনেকেই ভুগছেন আশঙ্কায়। এমন পরিস্থিতিতে আপনার ভ্রমণে ঠিকানার কিন্তু বিকল্পের অন্ত নেই।
নিজের শহরে না থাকলেও বারাণসীর দেব দীপাবলি কিন্তু আপনাকে হতাশ করবে না। এই দীপাবলি হল কার্তিক পূর্ণিমায় পালিত একটি উৎসব, যা সাধারণত দীপাবলির ১৫ দিন পর উদ্যাপিত হয়। এর আমেজ সহজে ভোলার নয়। এ ছাড়া গঙ্গারতি, নৌকা ভ্রমণ তো আছেই।
তিন রাতের পরিকল্পনা থাকলে থাকার জন্য মোটামোটি খরচ হতে পারে প্রায় ২৫-৩০ হাজার টাকা। পাশাপাশি ফ্লাইটে যাওয়া-আসা, খাওয়া, ঘোরা এবং কেনাকাটা- সব মিলিয়ে মাথা পিছু খরচ দাঁড়াতে পারে ১৩ হাজারের কাছাকাছি।
রাজস্থানের রাজকীয় দীপাবলি উদ্যাপন কি হাতছাড়া করা যায়? সাত দিনের ভ্রমণ পরিকল্পনা থাকলে একটি পরিবারের জন্য খরচ হতে পারে ১ লক্ষ ২৫ হাজার থেকে ১ লক্ষ ৬০ হাজার পর্যন্ত।
শহর থেকে দূরে আলোর উৎসবে মাততে চাইলে কেরালাও হতে পারে সেরা ঠিকানা। দু’জনের নিরিখে সব মিলিয়ে খরচ গড়াতে পারে ৯০ হাজার পর্যন্ত।
উত্তরাখণ্ড এবং হিমাচল প্রদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে করতেই কেটে যাবে ছুটি। হৃষীকেশে আধ্যাত্মিকতায় ডুব দিতে পারেন আবার হারিয়ে যেতে পারেন মসুরীর সৌন্দর্যে।
ট্রাভেল এবং খাওয়া-দাওয়া মিলিয়ে খরচ হবে ২৫ হাজার টাকা। অ্যাডভেঞ্চার ধরনের কার্যক্রম করতে চাইলে ধরে রাখুন ১৫ হাজার। এ ছাড়া চার রাতের পরিকল্পনা হলে থাকা, খাওয়া সব মিলিয়ে খরচ হবে ১ লক্ষ টাকা।
ছাড়া কম খরচে একই সঙ্গে ভ্রমণ ও দীপাবলির আমেজ নিতে চাইলে গোয়ার সৈকত দারুণ বিকল্প হতে পারে। এ ক্ষেত্রে খরচ ধরে রাখুন ১ লক্ষ।
তা হলে আর ভাবনা কীসের? শহুরে কোলাহল এড়িয়ে কিছু দিন কাটিয়েই আসুন মনের মতো দীপাবলি। (এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ)।