পুজোর ছুটিতে ভিড় এড়িয়ে প্রকৃতির মাঝে সময় কাটাতে চান? তবে পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রাম এবং আদুরিয়ার জঙ্গল হতে পারে আপনার জন্য এক নতুন গন্তব্য। সম্প্রতি বলিউডের 'মা' ও 'পিপ্পা' এবং বাংলার 'রঘু ডাকাত'-এর মতো ছবির শ্যুটিং এই জঙ্গলগুলিতে হওয়ায় পর্যটকদের কাছে ক্রমশ তাদের আকর্ষণ বাড়ছে। শারদীয় ছুটিতে এখানকার শাল, মহুয়া আর পলাশ গাছের ভিড়ে এক অন্য রকম অভিজ্ঞতা পেতেই পারেন।
কী ভাবে যাবেন? সড়ক পথে: কলকাতা থেকে আউশগ্রামের দূরত্ব প্রায় ১৬০ কিলোমিটার। গাড়ি নিয়ে যেতে চাইলে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে ধরে যাওয়া সবচেয়ে সুবিধাজনক। দুর্গাপুরের পরে আউশগ্রাম হয়ে সহজেই জঙ্গলে পৌঁছে যাবেন। কলকাতা থেকে সাধারণত ৪-৫ ঘণ্টা সময় লাগে। রেলপথে: ট্রেন যাত্রার ক্ষেত্রে দুর্গাপুর বা গুসকরা স্টেশনে নামতে পারেন। সেখান থেকে গাড়ি ভাড়া করে আউশগ্রাম বা আদুরিয়ার জঙ্গলে পৌঁছনো যায়।
কোথায় থাকবেন? আউশগ্রাম বা আদুরিয়ার জঙ্গলে থাকার জন্য খুব বেশি বিলাসবহুল রিসর্ট নেই। এটি এখনও পর্যটকদের কাছে ততটা পরিচিত নয়। তাই থাকার ব্যবস্থা সীমিত।
বন বাংলো: এখানকার একটি জনপ্রিয় থাকার জায়গা হলো বন বাংলো। বন বিভাগের অনুমতি নিয়ে এখানে থাকা যায়।
হোটেল: দুর্গাপুর শহরে কিছু হোটেল আছে। সেখানে থেকে গাড়ি নিয়ে রোজ জঙ্গলে ঘুরে আসতে পারেন।
কী কী করবেন? প্রকৃতির মাঝে: আউশগ্রামের আদিবাসী গ্রামগুলির পাশ দিয়ে হেঁটে গেলে প্রকৃতির নির্মল স্বাদ পাওয়া যায়। জঙ্গলের মধ্যে হেঁটে গেলে পাখিদের কিচিরমিচির আর শান্ত পরিবেশ আপনাকে মুগ্ধ করবে।
আদিবাসী সংস্কৃতি: এখানে আদিবাসী সংস্কৃতি খুব সমৃদ্ধ। পুজোর সময়ে গ্রামে তাঁদের স্থানীয় উৎসব এবং নাচ-গান দেখতে পাওয়া যায়। এটি এক অনন্য অভিজ্ঞতা।
প্রাচীন মন্দির: আউশগ্রামের অম্বিকা কালনা এবং আশপাশের কিছু প্রাচীন মন্দির আছে, যা মন কাড়বেই। এই মন্দিরগুলির স্থাপত্যশৈলী এবং ইতিহাস খুবই আকর্ষণীয়।
অন্যান্য আকর্ষণ: জঙ্গলের আশপাশে অনেক ছোট ছোট গ্রাম আছে, যা আপনি টোটো কিংবা রিকশা নিয়ে ঘুরে দেখতে পারেন।
পুজোর এই সময়ে যাঁরা ভিড় এড়িয়ে প্রকৃতি এবং বাংলার নিজস্ব ঐতিহ্যের স্বাদ নিতে চান, তাঁদের জন্য আউশগ্রাম এবং আদুরিয়ার জঙ্গল হতে পারে এক আদর্শ গন্তব্য। (এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ)।