প্রতীকী চিত্র
পুজোর ছুটি হোক, কিংবা অন্য কোনও সময় - বাইরে বেড়াতে গিয়ে বাজেটের তুলনায় বেশি খরচ হয়ে যাওয়ার ঘটনা প্রায়ই ঘটে। এর কারণ হল, অনেক সময়েই বেড়ানোর পরিকল্পনা করার ক্ষেত্রে, কিংবা তার জন্য খরচের হিসাব করার সময়ে কিছু লুকনো খরচ বা হিডেন কস্ট-এর আন্দাজ থাকে না। তাই এই বিষয়ে আগেভাগেই সতর্ক হওয়া জরুরি। তাতে খরচ কমবে। আপনার ভ্রমণের অভিজ্ঞতাও আরও সুন্দর হবে।
কিন্তু কী ভাবে বাগে আনবেন এই হিডেন কস্ট? রইল কিছু তার কিছু সুলুকসন্ধান–
১. যাতায়াতের খরচ
পরিবহণের খরচ: শুধু বিমান বা ট্রেনের টিকিট নয়, সেই সঙ্গে গন্তব্যে পৌঁছনোর পরে স্থানীয় পরিবহণের খরচও (ট্যাক্সি, বাস, মেট্রো প্রভৃতি) হিসাবের মধ্যে রাখুন। শহরের মধ্যে ঘোরার জন্য বিভিন্ন রাইড-শেয়ারিং অ্যাপ (যেমন - উবর, ওলা) বা সরকারি পরিবহণ ব্যবহার করুন। এগুলি অনেক বেশি সাশ্রয়ী।
ভ্রমণের সময়: সম্ভব হলে ভরা মরশুমের বদলে অফ-সিজনে কিংবা ছুটির দিনগুলি ছাড়া অন্যান্য সময়ে ভ্রমণ করুন। এতে যাতায়াত ও থাকার খরচ অনেকখানি কমে যায়।
২. থাকা-খাওয়ার খরচ
খাবারের খরচ: সাধারণত পর্যটনকেন্দ্রগুলির রেস্তরাঁয় খাবারের দাম বেশি হয়। তাই স্থানীয়দের মধ্যে জনপ্রিয়, এমন রেস্তরাঁ বা ছোট ক্যাফেতে খেতে পারেন। এতে সস্তা এবং ভাল খাবার পাওয়া যায়।
বাসস্থান: বড় হোটেল বা রিসর্টের বদলে হস্টেল, হোমস্টে-র মতো বিকল্পগুলি বেছে নিতে পারেন। এতে থাকার খরচ অনেকটাই কমে যায়।
৩. অন্যান্য লুকানো খরচ
বিমার খরচ: ভ্রমণ বিমা নেওয়া খুবই জরুরি। জরুরি পরিস্থিতিতে এই বিমা আপনাকে অপ্রত্যাশিত চিকিৎসার খরচ বা ব্যাগ হারিয়ে যাওয়ার মতো ঝামেলা থেকে রক্ষা করবে। যদিও অনেকেরই এটিকে অতিরিক্ত খরচ মনে হতে পারে। তবে, এই বিমা আপনাকে বড় লোকসানের হাত থেকে বাঁচায়।
কর ও ফি: হোটেল বুকিং কিংবা বিমানের টিকিট কাটার সময়ে লুকনো ট্যাক্স, সার্ভিস চার্জ বা অতিরিক্ত ফি আছে কি না, দেখে নিন। অনেক সময়ে অনলাইনে দেখানো দামের সঙ্গে চূড়ান্ত দামের পার্থক্য থাকে।
কেনাকাটা: কেনাকাটার জন্য একটি বাজেট ঠিক করে রাখুন। তাড়াহুড়ো করে কোনও কিছু না কিনে ভাল করে দরদাম করে কিনুন।
খরচ কমানোর কিছু সাধারণ টিপ্স
আগাম পরিকল্পনা: আগে থেকে টিকিট, হোটেল বুকিং এবং ঘোরার জায়গাগুলি ঠিক করে রাখলে শেষ মুহূর্তের অতিরিক্ত খরচ এড়ানো যায়।
সঠিক তথ্যতলাশ: বেড়াতে যাওয়ার আগে ইন্টারনেট বা ট্র্যাভেল ব্লগে ওই জায়গার খরচ সম্পর্কে ভাল করে খোঁজ নিন। এতে আপনার একটি স্পষ্ট ধারণা তৈরি হবে।
বাজেট ট্র্যাকিং: প্রতিদিনের খরচের একটি তালিকা রাখুন। এতে আপনি বুঝতে পারবেন কোন খাতে বেশি খরচ হচ্ছে এবং সেই অনুযায়ী খরচ নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।