কালীপুজো দরজায় কড়া নাড়ছে। শহরের ভিড়, শপিং, আলোয় ভরা রাতের মাঝেই অনেকেই খুঁজছেন একটু অন্য রকম পুজোর ছুটি। একে বারে অন্যরকম মানে—যেখানে ভয়ও আছে, মজা-ও আছে! এমনই এক গ্রাম, নদীর ধারে, জঙ্গলের পাশে—মঙ্গলগঞ্জ।
উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা থানার অন্তর্গত ঘন জঙ্গলের মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকা এই কুঠি এখন এক অনন্য পর্যটনকেন্দ্র।
ইতিহাস বলছে, এক সময়ে এখানে ছিল ইংরেজদের নীলচাষের ঘাঁটি। দেশের স্বাধীনতার পর জমিদারি প্রথা শেষ হলেও থেকে যায় এই বাড়ি।
স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, প্রায় ৬৪ বিঘা জমির উপর দাঁড়িয়ে এই নীলকুঠি। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এক সময় ধ্বংস হতে বসেছিল। পরে এক পর্যটক নিজ উদ্যোগে মেরামতের চেষ্টা করেন।
রাতের আলো কমলে, জঙ্গলের ভেতরের রাস্তাটা দেখে যেন মনে হয় অন্য কোনও জগৎ।
এখন এখানে তৈরি হয়েছে বাঁশের কুটির, যেখানে রাত কাটানো যায়।
জোনাকির আলো, মশালের ঝলক, পায়রার উড়ে যাওয়া—সব মিলিয়ে অভিজ্ঞতা যেন এক অন্য জগতে।
তবে নীলকুঠীর আরেকটি দিক ও রয়েছে। কথিত আছে, নীলকুঠীতে নাকি অশরীরীর আনাগোনা আছে। ভাগ্য ভাল না হলে তাদের দেখা মেলে। এ হেন ভূতের গল্প শুনতে নাকি শহর থেকে অনেকেই ছুটে আসেন মঙ্গলগঞ্জের এই জায়গায়।
ইছামতীর ঘাটে নামলেই মাঝির ডাক, নৌকা-বিহারে সূর্যাস্তের সঙ্গে শোনা যায় ভাটিয়ালী। সেই সুরেই মিশে থাকে গ্রামের গল্প।
আর সামনে কালীপুজো—ভূত-রোমাঞ্চ-অলৌকিকের গল্পে মেতে ওঠার এর চেয়ে ভাল সময় আর কী হতে পারে! (এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ)।