পুজোর সময় শহুরে ভিড় এড়িয়ে লম্বা ছুটিকে কাজে লাগিয়ে বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছেন? তাও মেঘের রাজ্য মেঘালয়ে? তা হলে জেনে পাঁচ দিনের ট্রিপ কী ভাবে সাজাবেন, কোন দিন কোন দিকে যাবেন।
ট্রেন বা প্লেনে চেপে পৌঁছে যান গুয়াহাটি। এখানে চাইলে একটা দিন থেকে কামাখ্যা মন্দিরে পুজো দিতে পারেন। নইলে সোজা স্টেশন বা বিমানবন্দর থেকে গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়ুন গন্তব্য অর্থাৎ শিলংয়ের উদ্দেশ্যে।
এ দিন যাওয়ার পথে দেখে নিন উমিয়াম হ্রদ। একই সঙ্গে দেখে নিন ক্যাথিড্রাল চার্চ। শিলং পৌঁছে একটু বিশ্রাম নিয়ে পায়ে হেঁটে ঘুরে দেখুন পুলিশ বাজার। উহু, কেবল ঘুরে দেখা নয়। করে ফেলুন মন খুলে কেনাকাটাও। আর রাস্তার ধারে নানা ধরনের কাবাব, ইত্যাদির সম্ভার তো রয়েছেই পেটপুজোর জন্য।
পরদিন শিলং থেকে গাড়ি বুক করে রওনা দিন ভারতের সবথেকে পরিষ্কার গ্রাম মওলিনলংয়ের উদ্দেশ্যে। এখানে পৌঁছে পায়ে হেঁটে ঘুরে দেখুন গোটা গ্রাম। বাঁশের মাচায় উঠে ভারতে দাঁড়িয়ে দেখুন পড়শি বাংলাদেশের ঝলক।
এই গ্রামেই মধ্যাহ্নভোজ সেরে রওনা দিন জীবন্ত সেতুর উদ্দেশ্যে। মনে রাখবেন এখানে যেতে বেশ অনেকটাই হাঁটতে হয়, ফলে সঙ্গে ছাতা, লাঠি এবং জল অবশ্যই রাখবেন।
লিভিং রুট ব্রিজ দেখে চলে যান ডউকি নদীতে। সেখানে নৌকায় চড়তে কিন্তু একদম ভুলবেন না। এই স্বচ্ছ নদী কিন্তু আদতে ভারত-বাংলাদেশের সীমান্ত।
এ দিনের সফর সেরে শিলংয়ে ফিরে আসুন। পর দিন এখান থেকে চলে যান চেরাপুঞ্জি। দেখে নিন নোহকালিকাই ঝর্না, আরওয়া গুহা, মাওসমাই গুহা, সেভেন সিস্টার্স ঝর্না, ইত্যাদি।
এ দিনটি চাইলে চেরাপুঞ্জিতেই থাকুন। পর দিন এখান থেকে চলে যান ডাবল ডেকার রুট ব্রিজে। এটি ট্রেক করে যেতে হয়। প্রায় ৩ হাজার ধাপ রয়েছে, যেতে আসতে ৭-৮ ঘণ্টা সময় লাগে। সেই মানসিক প্রস্তুতি রাখবেন, সঙ্গে পর্যাপ্ত জল রাখতে ভুলবেন না।
এ দিন ফিরতি পথে দেখে নিন ব্লু লেগুন এবং রেনবো ঝর্না।
পঞ্চম দিন চেরাপুঞ্জি থেকে শিলং ফিরুন। পথে এলিফ্যান্ট ঝর্না, লাইটলাম ক্যানিয়ন, মোফলাং জঙ্গল দেখে নিন। পর দিন শিলং থেকে গুয়াহাটি নেমে এসে প্লেন বা ট্রেন ধরে সোজা প্রাণের শহর ফিরে আসুন।