জঙ্গিনেতা মুফতি আবদুল হান্নান। ফাইল চিত্র
২০০৪ সালের ২১ মে-র দুপুর। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরী সিলেটে শাহজালালের মাজার দেখতে যান। সেখানকার দরগাহ মসজিদে জুমার নামাজ শেষে বের হওয়ার সময় মাজারের গেটের কাছে তাঁকে লক্ষ্য করে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। ওই হামলায় ব্রিটিশ হাইকমিশনার অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেলেও তিন জন মারা যান। আহত হন কমপক্ষে ৪০ জন।
আনোয়ার চৌধুরীকে হত্যার চেষ্টা এবং তিন জনকে হত্যার সেই মামলায় জঙ্গিনেতা মুফতি আবদুল হান্নান-সহ তিন আসামির মৃত্যুদণ্ডই বহাল রাখল হাইকোর্টের আপিল বিভাগ। বুধবার সকালে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের অপিল বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন। মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত অপর দুই আসামি শরিফ শাহেদুল আলম এবং দেলোয়ার হোসেন ওরফে রিপন।
এই মামলায় ২০০৮ সালে বিচারিক আদালত তিন আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেন। বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে হরকাতুল জিহাদের (হুজি) শীর্ষস্থানীয় নেতা মুফতি আবদুল হান্নান ও হুজির সিলেট অঞ্চলের সংগঠক শরিফ শাহেদুল আলম ওরফে বিপুল হাইকোর্টে জেলের আপিল করেন। শুনানি শেষে চলতি বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট বিচারিক আদালতের মৃত্যুদণ্ডের রায়ই বহাল রাখে।
এর পর রায়ের বিরুদ্ধে গত ১৪ জুলাই দুই আসামি আপিল বিভাগে যান। আজ এই মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সব আসামির মৃত্যুদণ্ডের রায় আপিল বিভাগেও বহাল থাকলো। এছাড়া এই মামলার যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি মহিবুল্লাহ ওরফে মফিজুর রহমান ওরফে মফিজ এবং মুফতি মঈন উদ্দিন ওরফে আবু জান্দাল আপিল না করায় তাদের দণ্ড বহাল রয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
আলোচিত এই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ। আর আসামিদের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মহম্মদ আলি ও অ্যাডভোকেট হেলাল উদ্দিন আহমেদ।
আরও পড়ুন:
জঙ্গিদের অবৈধ বিদেশি মুদ্রা আমদানিতেও চওড়া বাঁধ দিচ্ছে ঢাকা