Bangladesh

২২ দিনের কড়া নিষেধাজ্ঞা শেষ, বাংলাদেশে আবার ইলিশ ধরা শুরু

২২ দিনের নিষেধাজ্ঞার পর আজ, ৩ নভেম্বর থেকে বাংলাদেশে আবার শুরু হয়েছে ইলিশ ধরা। চাঁদপুরে পদ্মা-মেঘনায় সব ধরনের মাছ ধরাতেই এ ক’দিন নিষেধাজ্ঞা ছিল। আজ থেকে আবার ইলিশ ধরার উৎসবে মেতেছেন সেখানকার জেলেরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০১৬ ১৪:২১
Share:

ফের ইলিশ ধরা শুরু হয়েছে। নিজস্ব চিত্র।

২২ দিনের নিষেধাজ্ঞার পর আজ, ৩ নভেম্বর থেকে বাংলাদেশে আবার শুরু হয়েছে ইলিশ ধরা। চাঁদপুরে পদ্মা-মেঘনায় সব ধরনের মাছ ধরাতেই এ ক’দিন নিষেধাজ্ঞা ছিল। আজ থেকে আবার ইলিশ ধরার উৎসবে মেতেছেন সেখানকার জেলেরা।

Advertisement

প্রজনন মরসুমে মা ইলিশ রক্ষায় গত ১২ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত নদীতে জাল ফেলা ও সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছিল বাংলাদেশ সরকার।

মৎস্য অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল থেকে চরভৈরবী পর্যন্ত মেঘনা নদীর ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত ইলিশের অভয়াশ্রম ঘোষণা করা হয়েছিল। ইলিশের সর্বোচ্চ প্রজনন মরসুম আশ্বিনের ভরা পূর্ণিমার আগের চার দিন,পূর্ণিমার একদিন ও পূর্ণিমার পরের ১৭ দিন। এ সময় প্রজনন সক্ষম ইলিশ ডিম ছাড়ার জন্য সাগর থেকে নদীতে এবং মোহনায় উঠে আসে। ডিম ছাড়ার সুযোগ দিতে টানা ২২ দিন ইলিশ নিধন, আহরণ, পরিবহণ, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয় ও মজুদ করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ বলে সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়। আইন অমান্য করলে ইলিশ সংরক্ষণ আইনে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে সর্বোচ্চ সাজা দু’বছর কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা ধার্য করা হয়েছিল।

এই বছর ইলিশ রক্ষা কর্মসূচিতে চাঁদপুরের জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, সুশীল সমাজ সেখানকার জেলেদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে সক্ষম হয়েছে। ফলে প্রশংসিত হয়েছে চাঁদপুরের জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনসহ কর্মসূচির সাথে সংযুক্ত জেলা টাস্কফোর্স, জেলা ও উপজেলা মৎস্য অধিদফতর, কোস্ট গার্ড, নৌ পুলিশ সহ সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো।

চাঁদপুর জেলা মৎস্য দফতরের কর্তা মহঃ সফিকুর রহমান জানিয়েছেন, নিষেধাজ্ঞা চলাকালে চাঁদপুর জেলার ৪১ হাজার ৪২ জন জেলের প্রত্যেককে সরকারের পক্ষ থেকে ২০ কেজি করে চাল সহায়তা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য বৃহত্তর কুমিল্লা জেলার মৎস্য উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় প্রতি উপজেলায় ৬০ জন করে জেলেকে সেলাই মেশিন ও ছাগল বিতরণ করা হয়েছে।

এ দিকে অভিযান চলাকালে মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা অমান্য করায় মোট ৬১ জন জেলেকে জেল-জরিমানা করা হয়েছে এবং তাঁদের কাছ থেকে প্রায় সাড়ে সাত লাখ মিটার কারেন্ট জাল ও ২৯৭ কেজি ইলিশ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই অফিসার। আটক করা হয়েছে ১১টি মাছ ধরার নৌকা।

মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ২৫ জন জেলের কাছ থেকে ৮৭ হাজার টাকার জরিমানা আদায় করা হয় এবং ৩৬ জেলেকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এই ৩৬ জনের মধ্যে ৬ জনকে ২ বছর করে কারাদণ্ড, ২১ জনকে ১ বছর কারাদণ্ড, ১ জনকে ১ মাস ও ৮ জনকে ১৫ দিনের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। দণ্ডপ্রাপ্ত জেলেদের মধ্যে ১৯ জনই সদর উপজেলার, মতলব উত্তর উপজেলায় ৩ জন, কচুয়া উপজেলায় ২ জন, হাজিগঞ্জ উপজেলায় ১ জন।

Advertisement

আরও পড়ুন: মিরাজের পরিবারের জন্য বাড়ি তৈরির নির্দেশ দিলেন হাসিনা

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement