কুমারী পুজো।
কঠোর নিরাপত্তায় বাংলাদেশে দেবীর সন্ধিপুজো আর রামকৃষ্ণ মিশনে কুমারী পুজো অনুষ্ঠিত হল। মহাষ্টমীতে বিভিন্ন বয়সী মানুষের অংশগ্রহণে শঙ্খ, উলুধ্বনি আর মায়ের আরাধনায় মুখরিত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। রবিবার সকাল সাড়ে ৭টায় শুরু হয় মহাষ্টমীর পুজো। সকাল ১১টায় হয় শুরু কুমারী পুজো। এর পর সন্ধ্যায় হয় সন্ধিপুজো।
শাস্ত্র অনুযআয়ী, সাধারণত এক থেকে ১৬ বছরের সুলক্ষণা কুমারীকে পুজো করা হয়। কুমারী বালিকার মধ্যে শুদ্ধ নারীর রূপ চিন্তা করে তাকে দেবী হিসাবে এই পুজো করেন ভক্তরা। কঠোর নিরাপত্তায় মুড়ে এই বছর ঢাকা মহানগরীতে ২২৯টি মণ্ডপে পুজো অনুষ্ঠিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর সার্বজনীন পুজো কমিটির কর্তারা। পাঁচ দিনব্যাপী দুর্গোৎসবে প্রতিটি মণ্ডপে চলছে ভক্তিমূলক সংগীতানুষ্ঠান, মহাপ্রসাদ বিতরণ এবং সন্ধ্যায় আরতি প্রতিযোগিতা। রাজধানীতে বিজয়া দশমীর দিন ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির মেলাঙ্গন থেকে বিজয়ার শোভাযাত্রা বের করা হবে।
আরও পড়ুন
মহাষ্টমীতে শুদ্ধাত্মা কুমারীর আরাধনা দেবী জ্ঞানে
মহানগর সার্বজনীন পুজো কমিটির সাধারণ সম্পাদক শ্যামল কুমার রায় বলেন, “সোমবার (আগামিকাল) মহানবমী। মঙ্গলবার সকালে দশমী বিহিত পুজো ও দর্পণ বিসর্জনে শেষ হবে দুর্গোৎসব।” রাজধানীতে মঙ্গলবার বিকাল ৪টায় হবে বিজয়া শোভাযাত্রা। পুরান ঢাকার ওয়াইজঘাটে হবে প্রতিমা বিসর্জন। ওই দিন বিকাল ৪টার মধ্যে সব মণ্ডপ থেকে প্রতিমা নিয়ে শোভাযাত্রায় যোগ দেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছে মহানগর সার্বজনীন পুজো কমিটি।
আরও পড়ুন