#MeToo

মিস আয়ারল্যান্ড এই বঙ্গতনয়ার পোস্টে তোলপাড়, #মিটু আছড়ে পড়ল বাংলাদেশেও

ফেসবুক পেজে নিজের অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করেছেন প্রিয়তি। তাঁর অভিযোগের তির রফিকুল ইসলাম রফিক নামে এক ব্যবসায়ীর দিকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ঢাকা শেষ আপডেট: ৩০ অক্টোবর ২০১৮ ২০:০৩
Share:

অভিযোগকারিণী মাকসুদা আখতার প্রিয়তি।

মিটু ঝড় এ বার বাংলাদেশে। মুখ খুললেন প্রাক্তন মিস আয়ারল্যান্ড মাকসুদা আখতার প্রিয়তি। অভিযোগ করলেন, যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন তিনি।

Advertisement

এই মুহূর্তে আয়ারল্যান্ডে রয়েছেন প্রিয়তি। সেখান থেকেই ফেসবুক পেজে নিজের অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করেছেন তিনি।তাঁর অভিযোগের তির রফিকুল ইসলাম রফিক নামে এক ব্যবসায়ীর দিকে। ওই ব্যক্তি একটি নামী ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান। একইসঙ্গে তিনি নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানও। ওই ব্যক্তিকে প্রচণ্ড ক্ষমতাশালী উল্লেখ করে প্রিয়তি লিখেছেন, ‘লোকটির নাম রফিকুল ইসলাম... এই পোস্টের পর হয়তো আমার নামে মানহানির মামলা হবে, না হয় বলবে অসৎ উদ্দেশ্য আছে আমার... ইত্যাদি ইত্যাদি।’’

বছর তিনেক আগে রফিকুলের কোম্পানির একটি পণ্যের বিজ্ঞাপনে কাজ করার পর নিজের পারিশ্রমিক আনতে গিয়েছিলেন প্রিয়তি। সেই সময় রফিকুলের অফিসেই তাঁর যৌন নিগ্রহ করা হয় বলে অভিযোগ। ফেসবুক স্ট্যাটাসে প্রিয়তি লিখেছেন, ‘এই লোকটি তার অফিসে হঠাৎ করে টেবিল থেকে উঠে এসে আমার জামার ভিতর হাত ঢুকিয়ে... ২০১৫ সালের মে মাসে তাদের প্রোডাক্ট প্রমেক্স এর বিজ্ঞাপন এর পেমেন্ট আনতে গিয়ে (এই পেমেন্ট যদিও আমি পাইনি)। আমি চিৎকার করে কান্না করেছিলাম এই অপমান সহ্য করতে না পেরে, কিন্তু আমরা পুরোপুরি নিরুপায় ছিলাম তাদের ক্ষমতার কাছে। আমি কিন্তু তখন কারেন্ট মিস আয়ারল্যান্ড ছিলাম।’ প্রিয়তি আরও জানিয়েছেন, ‘আমি শুধু এতটুকু বলতে চাই, পুরো ঘটনাটি লজ্জায় লিখতে পারিনি, কারণ ঘটনা এর চেয়ে ভয়াবহ ছিল।’

Advertisement

প্রিয়তির ফেসবুক পোস্ট

আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার ৭ বছর জেল, ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় একই শাস্তি আরও তিন জনের​

মঙ্গলবার প্রিয়তিকে আনন্দবাজার ডিজিটালের তরফে আয়ারল্যান্ডে ফোন করা হয়। তিনি বলেন, ‘‘আতঙ্কে আছি। ওই ঘটনা শুধু নিগ্রহেই সীমাবদ্ধ ছিল না, মুখ খুললে আমাকে খুন করার হুমকিও দেওয়া হয়েছিল।এমনকি আয়ারল্যান্ডে এসে আমাকে খুন করা হবেবলা হয়েছিল।’’

প্রিয়তির ফেসবুক পোস্ট

তাঁর দাবি,‘‘রফিকুল ইসলাম নামে ওই ব্যবসায়ী ফোনে হুমকি দিয়ে বলেছিলেন, আয়ারল্যান্ড বেশি দূরে নয়, আমার জন্য দু’সেকেন্ডের ব্যাপার।” প্রিয়তি তাঁর পোস্টে সে কথা লিখেওছেন, ‘আমার জীবনের যদি কোনও ক্ষতি হয় অর্থাৎ প্রাণহানী করার ঘটনা ঘটে, তাহলে মহম্মদ রফিকুল ইসলাম দায়ী থাকবেন। কারণ তিনি আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছিলেন তিন বছর আগেই, এমনকি আয়ারল্যান্ডে এসেও আমাকে মেরে ফেলা তার জন্য নাকি দুই পয়সার ব্যাপার।’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন