প্রথম পর্যায়ে প্রায় ৮ হাজার জন রোহিঙ্গাকে ফেরাতে রাজি হয়েছে মায়ানমার প্রশাসন। দাবি হাসিনা সরকারের। —ফাইল চিত্র।
রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দেশে ফেরানোর বিষয়ে হঠাৎই এক ঝলক আশার আলো দেখল বাংলাদেশ। শরণার্থীদের তালিকা যাচাইয়ের পরে প্রায় ৮ হাজার জনকে প্রথম পর্যায়ে ফেরাতে রাজি হয়েছে মায়ানমার প্রশাসন। সোমবার ঢাকায় সাংবাদিক বৈঠক করে বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলি এ খবর জানিয়েছেন।
প্রায় ৮ মাস আগে মায়ানমার প্রশাসন শরণার্থীদের পরিচিতি সংবলিত কাগজপত্র ও প্রথম পর্যায়ে তাঁদের নামের একটি তালিকা চেয়ে পাঠিয়েছিল। বাংলাদেশ সরকার ১৬৭৩টি পরিবারের ৮ হাজার ২ জনের নাম তাদের কাছে পাঠায়। কিন্তু তার পর মায়ানমার সরকার আর কোনও উচ্চবাচ্য না করায় হতাশা বাড়ছিল ঢাকায়। সেই নামগুলি মেনে নেওয়া হল বলে এত দিন পরে ঢাকাকে জানিয়েছে মায়ানমার সরকার। বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী এ দিন জানান, এ মাসের শেষে মায়ানমারের বিদেশ মন্ত্রকের একটি দল ঢাকায় আসছে। যৌথ কর্মগোষ্ঠীর বৈঠকেই পরবর্তী পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হবে। মাহমুদ আলি জানান, বাংলাদেশ চায় শরণার্থীদের দ্রুত ফেরত নিক মায়ানমার। কিন্তু কবে ফেরানো শুরু হতে পারে শরণার্থীদের? বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রীর জবাব, এখনও সেটা বলার সময় আসেনি।
গত বছর ২১ অগস্ট রোহিঙ্গা জঙ্গি সংগঠন ‘আরসা’ মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশে পুলিশ ও সামরিক ছাউনিগুলিতে আক্রমণ চালিয়ে বহু মানুষকে হতাহত করে। এর পরে সেনাবাহিনী রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর উপরে যে মারাত্মক নির্যাতন ও হত্যাকাণ্ড শুরু করে, তাতে লক্ষ লক্ষ রোহিঙ্গা সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশ চলে আসেন। প্রায় ৮ লক্ষ শরণার্থীর চাপ সামলানোর পাশাপাশি বছর শেষে নির্বাচনের আগে কিছু শরণার্থীকে ফেরাতে পারলে শেখ হাসিনা সরকারের সাফল্য হিসেবে তা ধরা হবে। সেই কাজ এ বার শুরু করা যেতে পারে বলে আশাবাদী বিদেশমন্ত্রী।