তুরস্কের বিদেশমন্ত্রকের সেই বার্তা।
মতিউর রহমান নিজামির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ার পরে ঢাকা থেকে নিজেদের রাষ্ট্রদূতকে ফিরিয়ে নিয়ে গিয়েছিল তুরস্ক। সেই বিষয়কে কেন্দ্র করে দু’দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছিল। সেই ঘটনার তিন মাস পর ফের বাংলাদেশে রাষ্ট্রদূত পাঠায় তারা। সেই সময় বাংলাদেশে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত ডেভরিম ওসতুর্ক সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়েছিলেন, এ দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলানোর ইচ্ছে তাঁদের নেই। কিন্তু, এ বার মির কাসেম আলির ফাঁসির পরে আবারও সরব হয়েছে তাঁর দেশ তুরস্ক।
রবিবার তুরস্কের বিদেশ মন্ত্রক এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘‘জামাতে ইসলামির কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য এবং প্রধান অর্থদাতা মির কাসেম আলিকে ফাঁসি দিয়েছে। এটা দুঃখজনক।’’
আরও পড়ুন: কাসেমের ফাঁসিতে ‘মর্মাহত’ পাকিস্তান! নাক গলাতে বারণ করল বাংলাদেশ
এর আগে মতিউর রহমান নিজামির ফাঁসির নিন্দা করে তুরস্কের রাষ্ট্রপতি এরদোয়ান জানিয়েছিলেন, মৃত্যুদণ্ড হওয়ার মতো ‘পার্থিব কোনও পাপ’ নিজামি করেননি বলেই তাঁর বিশ্বাস। সেই সময়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদুত ডেভরিম ওসতুর্কেও তাঁরা ঢাকা থেকে ফিরিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন। গত ১৫ জুলাই তুরস্কে এক ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানের প্রায় এক মাস পরে ফের ঢাকায় ফেরেন ওসতুর্ক। বাংলাদেশে ফিরেই তিনি সাংবাদিক বৈঠকে বলেছিলেন, “এটা ভুল বোঝাবুঝি। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার কোনও অভিপ্রায় আমাদের নেই।”
ওই বৈঠকে ১৯৭৫-এ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করার নিন্দা করেছিলেন তুরস্কের রাষ্ট্রদূত। একই সঙ্গে এরদোয়ান সরকারকে উৎখাত করার চেষ্টার সময়ে তুরস্কের পাশে তাকার জন্য তিনি শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতাও জানিয়েছিলেন তিনি।
কিন্তু, যুদ্ধাপরাধী মির কাসেমের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পরেই ফের মুখ খুলল তুরস্ক সরকার। এ দেশে যুদ্ধাপরাধীদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পরেই পাকিস্তান ও তুরস্কের বক্তব্য অনেকটাই শোকপ্রকাশের মতো মনে হচ্ছে বাংলাদেশের নাগরিকদের কাছে। এই বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার কঠোর অবস্থান নিয়েছে। তাদের বক্তব্য, যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে দাঁড়ানো যে কোনও মন্তব্যেরই সরকার কড়া জবাব দিয়েছে এবং দিচ্ছে।