বাংলাদেশের চুয়াডাঙ্গাতে দুই বাউলকে মারধরের পর চুল কেটে নেওয়া হল। পুড়িয়ে দেওয়া হল তাঁদের ঘর। শুক্রবার উপজেলার গোবিন্দপুরে বাউল অনুসারী জুলতম খাঁ ও নগেন হালদারকে মারধরের পর মাথার চুল কেটে দেওয়ার এ ঘটনা ঘটেছে। জানিয়েছেন দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি আবু জিহাদ মো. ফখরুল আলম খান। তিনি জানান, চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদার গোবিন্দহুদায় শুক্রবার গভীর রাতে বাউলদের আশ্রমে হামল করে দুর্বৃত্তরা। তারা সাধুদের গাছে বেঁধে মারধর করে এবং চুল কেটে দেয়। নির্যাতন শেষে আশ্রমের ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়। আশ্রমের সেবায়েত জুলমত আলি শাহ সংবাদ মাধ্যমকে জানান, ওই দিন রাত ১২টার পর ৮-৯ জন এসে আশ্রমে হামলা করে। সবার মুখ মুখোশে ঢাকা ছিল। ঘরে ঢুকে প্রথমেই বিদ্যুৎ সংযোগ বিছিন্ন করে দেয় দুষ্কৃতীরা। আশ্রমবাসী জুলমত আলি ও মোমেনা খাতুনের হাত ও চোখ বেঁধে ফেলে। পরে জুলমত আলি ও আশ্রমের সাধু হরেন্দ্রনাথকে (৭০) দুটি গাছে বেঁধে নির্যাতন করে ও চুল কেটে দেয়। এর মধ্যেই ৪-৫ জন ঘরে ঢুকে সব বাদ্যযন্ত্র, আসবাবপত্র ও ধর্মীয় বই-সহ আশ্রমের দুটি ঘরে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়।
কারা এ হামলা চালিয়েছে সে বিষয়ে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে বলে জানান স্থানীয় থানার ওসি। এর আগে লালন অনুসারী এক বাউলের আখড়ায় হামলার ঘটনা ঘটেছিল বাংলাদেশের চুয়াডাঙ্গাতেই।