—প্রতীকী চিত্র।
চা-রসিক বাঙালির স্বপ্নের জগৎ দার্জিলিংয়ের মকাইবাড়িতে নতুন বিলাস-ঠিকানা। জঙ্গল ধ্বংস এড়িয়ে ঝোপঝাড়ের পরিসর পাল্টে যা সেজে উঠবে নতুন রূপে। ওবেরয় গোষ্ঠীর সঙ্গে লক্ষ্মী টি-র গাঁটছড়ায় প্রকৃতির কোলে এই স্বাচ্ছন্দ্য আবাসটি তৈরির কথা ঘোষণা হল সোমবার। চুক্তির কথা জানিয়েছে ওবেরয়দের সংস্থা ইআইএইচ। ১০০ কোটি টাকার প্রকল্প।লক্ষ্য, ২০৩০-এর মধ্যে চালু করা।
কলকাতায় ওবেরয় গোষ্ঠীর ঐতিহ্যপীঠ গ্র্যান্ড হোটেলের সংস্কার চলছে। এর মধ্যেই পশ্চিমবঙ্গে তাদের এই নতুন লগ্নি। তাইল্যান্ডের স্থপতি সংস্থা লাভা ডিজ়াইন স্টুডিয়ো গড়বে মকাইবাড়ির হোটেলটি। ২৫টি ঘরের বন্দোবস্ত-সহ সবটাই চাঙ্গ বাংলোর আদলে সেজে ওঠার কথা। তাতে বিলাসী আবহেও অনেকটা পাহাড়-জঙ্গলে মাচায় বাসের আমেজ মিলবে।
১৫০ বছরের পুরনো মকাইবাড়ি চা-বাগান ঐতিহ্য হিসেবে চিহ্নিত। ১৯৮৮-তে তা বিশ্বের প্রথম সম্পূর্ণ জৈব চা বাগান তকমা পেয়েছে। লক্ষ্মী টি-র এমডি রুদ্র চট্টোপাধ্যায় বলেন, “মকাইবাড়িতে শুধু চা উৎপাদন করি না। প্রকৃতি, পরিবেশ, জীব বৈচিত্র্য পরিচর্যার দীর্ঘ ধারাবাহিকতা আছে। হোটেল বা আতিথেয়তা শিল্পের প্রসার স্থানীয় মানুষ, সমাজকে সঙ্গে নিয়ে চলার জন্যই। সে দিক দিয়ে ওবেরয় গোষ্ঠী এই কর্মযজ্ঞের আদর্শ শরিক।” গোষ্ঠীর দাবি, একটি গাছও না কেটে প্রকল্প হচ্ছে। স্থানীয়রা কাজও পাবেন।
২০৩০-এর মধ্যে ওবেরয়রা দেশে, বিদেশে আরও ২৯টি হোটেল ও বিলাস পরিকাঠামো তৈরির পথে এগোচ্ছে, জানান সিইও বিক্রম ওবেরয়। এগ্জ়িকিউটিভ চেয়ারম্যান অর্জুন ওবেরয় বলেন, “মকাইবাড়ি আমাদেরকাজের মানচিত্রে বড় সংযোজন।’’
প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর
সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ
সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে