Jute Factory

বস্তার চাহিদা বাড়লেও সংশয় জোগান নিয়ে

খরিফ মরসুমে বস্তা তৈরি ও জোগানের ব্যবস্থা নিয়ে সম্প্রতি চটকল মালিকদের সংগঠন আইজেএমএ-র সঙ্গে জুট কমিশনারের অফিসে বৈঠক হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ অগস্ট ২০২০ ০৩:৪২
Share:

প্রতীকী ছবি

জুট কমিশনারের অফিস জানিয়েছিল, এ বছর খরিফ মরসুমের খাদ্যশস্য ভরতে রাজ্যগুলির প্রায় ২১ লক্ষ বেল (১ বেল=৫০০টি বস্তা) চটের বস্তা লাগবে। কিন্তু সূত্রের খবর, ভাল ফলন হওয়ায় চাহিদা বেড়ে অন্তত ২৪ লক্ষ বেল হতে পারে। যা গত বছরের তুলনায় অনেকটাই বেশি। রাজ্যের চট শিল্পের একাংশ বলছে, এটা আশীর্বাদ। দীর্ঘ লকডাউনে ব্যবসা মার খাওয়ার পরে বস্তার বরাত বৃদ্ধি লোকসানের কিছুটা পুষিয়ে নেওয়ার পথ খুলতে পারে। তবে অনেক চটকল মালিকের আক্ষেপ, বহু কারখানায় শ্রমিক কম। বিহার, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশায় চলে যাওয়া পরিযায়ী শ্রমিকদের অনেকে এখনও ফেরেননি। ফলে উৎপাদনে সমস্যা হচ্ছে। কেন্দ্রের চাহিদা মতো সময়ে বস্তার জোগানে সমস্যা দেখা দিতে পারে বলেই মনে করছেন তাঁরা।

Advertisement

খরিফ মরসুমে বস্তা তৈরি ও জোগানের ব্যবস্থা নিয়ে সম্প্রতি চটকল মালিকদের সংগঠন আইজেএমএ-র সঙ্গে জুট কমিশনারের অফিসে বৈঠক হয়েছে। সূত্রের খবর, সেখানেই বস্তার চাহিদা বৃদ্ধির ইঙ্গিত মিলেছে। তবে সময়ের মধ্যে বস্তা সরবরাহের ক্ষেত্রে যে সমস্যা হতে পারে, সে কথা জুট কমিশনারকে জানানো হয়েছে তখনই।

প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে, ডিসেম্বরের মধ্যে চটকলগুলিকে ২১ লক্ষ বেল বস্তা পাঠাতে হবে। জুট কমিশনারের অফিস থেকে জানানো হয়েছে, চটের বস্তার জোগানে ঘাটতি দেখা দিলে প্লাস্টিকের বস্তা কেনার সুপারিশ করা হবে। ফলে বস্তার বরাত আরও বাড়লেও সেই আশঙ্কা থাকছেই। রবি মরসুমেও চাহিদা মতো বস্তা দিতে না-পারায় কেন্দ্র প্লাস্টিকের বস্তা কিনেছিল। যা জোগাতে পারলে রাজ্যের চটকলগুলির ঝুলিতে কয়েক’শ কোটি টাকা ব্যবসা আসত।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন