tourism

কেন্দ্রের কাছে ফের সাহায্যের দাবি পর্যটনের

অবস্থা কবে স্বাভাবিক হবে, তারও ঠিক নেই। ব্যবসার এই সঙ্কটের কথা তুলে ধরে ফের কেন্দ্রের কাছে সাহায্যের আর্জি জানাল ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অব ট্যুর অপারেটর্স (আয়াটো)।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৫:০৭
Share:

ফাইল চিত্র।

অতিমারির থাবায় পর্যটন শিল্প গত ক’মাস ধরেই বেহাল। বিপুল কর্মী ছাঁটাইয়ের পাশাপাশি অনেককেই সাময়িক ছুটিতে পাঠিয়েছে সংস্থাগুলি। কর্মরতদের বড় অংশ ৩০ শতাংশের কম বেতন পাচ্ছেন। অবস্থা কবে স্বাভাবিক হবে, তারও ঠিক নেই। ব্যবসার এই সঙ্কটের কথা তুলে ধরে ফের কেন্দ্রের কাছে সাহায্যের আর্জি জানাল ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অব ট্যুর অপারেটর্স (আয়াটো)। কর্মীদের বেতনের জন্য আর্থিক সাহায্য, সহজে ঋণের বন্দোবস্তের মতো বিভিন্ন দাবি জানিয়েছে তারা।
করোনার ধাক্কায় প্রথমে উড়ান, ট্রেন সবই বন্ধ হয়। তার পর টানা লকডাউন। ফলে শীতের শেষ থেকে গ্রীষ্মের পুরো মরসুমই মার খেয়েছে পর্যটন ব্যবসা। পর্যটন সংস্থাগুলির বিভিন্ন সংগঠনের বক্তব্য, অতীতে কেন্দ্রের কাছে দরবার করেও ফল মেলেনি। এ দফায় আয়াটোর আর্জি, ২০১৮-১৯ সালের হিসেবের খাতার ভিত্তিতে সংস্থাগুলির কর্মী খাতে বেতনের যে হিসেব সরকারের কাছে জমা আছে, সেই অঙ্ক এককালীন অনুদান হিসেবে দিক কেন্দ্র। তা ছাড়া, বিদেশি মুদ্রা আয়ের জন্য সরকারের কাছ থেকে সংস্থাগুলি ‘সার্ভিস এক্সপোর্ট ইন্ডিয়া স্কিম’-এ যে ৭% আর্থিক সুবিধা পায়, ২০১৯-২০ সালের সেই অর্থ এখনও বকেয়া। দ্রুত তা মেটানোর পাশাপাশি, ওই অনুদান বাড়িয়ে ১০% করা হোক। সংগঠনের অভিযোগ, পুরনো ঋণগ্রহীতারাই ঋণ প্রকল্পের সুবি‌ধা পাচ্ছে। নতুন পর্যটন সংস্থা চাইলেও পাচ্ছে না। সেই নিয়ম সংশোধন করা হোক।
আয়াটোর প্রেসিডেন্ট প্রণব সরকার বলেন, ‘‘সরকারের আর্থিক সমস্যার কথা আমরা জানি। তাই এমন কোনও সাহায্য চাইছি না, যাতে তাদের বিপুল ব্যয় হয়। কিন্তু এটুকু মিললেও এই শিল্প কিছুটা বাঁচার রসদ পাবে। না-হলে কয়েক মাসে বহু সংস্থাকে ঝাঁপ বন্ধ করতে হতে পারে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement