বৃহস্পতি থেকে শনিবার অর্থসচিব অজয় ভূষণ পাণ্ডে এবং প্রত্যক্ষ কর পর্ষদের জনা বারো আধিকারিকের সঙ্গে কথা চলে কেয়ার্নের সিইও সাইমন থমসনের। ফাইল ছবি
তিন দিন ধরে অর্থ মন্ত্রকের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে আলোচনার পরে প্রাপ্য অর্থ ফেরত নিয়ে ভারতের উপরে আস্থা রাখার বার্তা দিল কেয়ার্ন এনার্জি। রবিবার ব্রিটিশ সংস্থাটি বলে, সালিশি আদালত ভারতকে তাদের ১৪০ কোটি ডলার ফেরানোর যে নির্দেশ দিয়েছে, সে ব্যাপারে বন্ধুত্বপূর্ণ সমাধান বেরোবে বলেই আশা। তবে শেয়ারহোল্ডারদের স্বার্থ রক্ষায় কেয়ার্ন যে কড়া পদক্ষেপের পথ খোলা রাখছে, সেই ইঙ্গিতও স্পষ্ট।
বৃহস্পতি থেকে শনিবার অর্থসচিব অজয় ভূষণ পাণ্ডে এবং প্রত্যক্ষ কর পর্ষদের জনা বারো আধিকারিকের সঙ্গে কথা চলে কেয়ার্নের সিইও সাইমন থমসনের। যদিও সংস্থাটি আগেই আমেরিকা, নেদারল্যান্ডসের মতো দেশে মামলা করেছে আন্তর্জাতিক সালিশি আদালতের নির্দেশ মানতে ভারতকে বাধ্য করানোর জন্য। যাতে কেন্দ্র টাকা না-ফেরালে বিদেশে ভারতের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, বিমান, জাহাজ, সংস্থার মতো সম্পদ বিক্রির অধিকার মেলে। কারণ কেয়ার্নের অভিযোগ, বকেয়া আদায়ে কেন্দ্র সংস্থার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করায় শেয়ারহোল্ডারদের ক্ষতি হয়েছে।
কেয়ার্নের বকেয়া কর আদায়ের মামলায় সালিশি আদালতে হারলেও সূত্রের খবর, দেশে নিজেদের কর বসানোর অধিকার রক্ষায় মরিয়া সরকার টাকা ফেরানোর নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারে। চাপ দিতে পারে ভারতের আইন মেনে রফাতেও।
এ দিন কেয়ার্নের দাবি, কড় পদক্ষেপ এড়াতেই আলোচনা এবং পারস্পরিক সম্মতিতে দ্রুত রফার পথ খুঁজছে তারা। আরও বেশি বন্ধুত্বপূর্ণ গলায় নয়াদিল্লি বলছে, গঠনমূলক ও আন্তরিক আলোচনা হয়েছে। শেষে কী হবে, সময় বলবে। তবে কেয়ার্নের প্রতিশ্রুতি, ১০,২৪৭ কোটি টাকা বকেয়া করের নোটিস পাঠানো আয়কর দফতর ২০১৪ সালে তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করায় যে সমস্যা মাথা তুলেছিল, তার সমাধান হলে ফের ভারতে লগ্নি নিয়ে ফিরবে সংস্থাটি। এ দেশের স্থলভূমিতে বৃহত্তম তেলের খনিটি খুঁজে পেয়েছিল যারা।