বণিকসভায় জেটলি। রবিবার।
এ বার প্রবীণদের জন্য আলাদা স্বাস্থ্যবিমা এবং কৃষির জন্য একটি বিমা চালুর পরিকল্পনা করছে কেন্দ্রীয় সরকার। রবিবার কলকাতায় ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্স আয়োজিত দেশের অর্থনীতি নিয়ে এক আলোচনাসভায় এ কথা জানান কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি।
সকলের জন্য ব্যাঙ্কের দরজা খুলে দিতে জন-ধন যোজনা এবং কম আয়ের মানুষের জন্য দু’টি বিমা ও একটি পেনশন প্রকল্প চালু করার পরে এ বার এই দু’টি প্রকল্প আনতে উদ্যোগী কেন্দ্র। এ দিন জেটলি বলেন, ‘‘কৃষি সংক্রান্ত বিমা এবং প্রবীণ নাগরিকদের জন্য স্বাস্থ্যবিমা চালু করার বিষয়টি নিয়ে পরিকল্পনা চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।’’
এ দিন দেশের আর্থিক বৃদ্ধি নিয়ে বিশেষ আশার কথা জানিয়েছেন জেটলি। তিনি বলেন, ‘‘বিভিন্ন মহল থেকে বলা হচ্ছে, এ বছর বৃদ্ধির হার ৬ থেকে ৭ শতাংশের মধ্যেই থাকবে। কিন্তু আমি মনে করি তা ৮ শতাংশে উঠে যাওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে।’’ এই আশার কারণ হিসেবে জেটলির ব্যাখ্যা, ‘‘পরিষেবা ক্ষেত্রের উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে। ভাল হয়েছে বর্ষা। মূল্যবৃদ্ধির হারও নিয়ন্ত্রণে। শুধু প্রয়োজন শিল্পের গতি বাড়ানো। পরিকাঠামো উন্নয়ন করে যদি শিল্পোৎপাদন কিছুটা বাড়ানো যায়, তা হলে আমার ধারণা, বৃদ্ধি ৮ শতাংশে নিয়ে যাওয়া অসম্ভব নয়।’’
এ দিন জেটলি জানান, কোম্পানি কর ধাপে ধাপে ২৫ শতাংশে নিয়ে আসার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের। তবে এর পাশাপাশি এই সংক্রান্ত বেশ কিছু ছাড়ও তুলে দেওয়া হবে। এর কারণ হিসাবে অর্থমন্ত্রী বলেন যে, করছাড় ব্যবস্থার ফাঁক দিয়ে দুর্নীতি ঢুকে পড়ার সম্ভাবনা থাকে। তা ছাড়া কোম্পানি কর ব্যবস্থাকে আরও সরল করাও সরকারের উদ্দেশ্য। এই সংক্রান্ত প্রস্তাব খুব শীঘ্রই সংশ্লিষ্ট মহলের মতামত নেওয়ার জন্য প্রকাশ করা হবে বলে জানান জেটলি।
সংসদ অচল করার জন্য এ দিন কংগ্রেসকেও এক হাত নেন জেটলি। তাঁর অভিযোগ, পণ্য-পরিষেবা কর চালু করা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরির জন্য কংগ্রেসের বাধাদানও দায়ী। তিনি বলেন, এই কর চালু করার বিষয়টিকে পশ্চিমবঙ্গ-সহ অধিকাংশ রাজ্যই সমর্থন করেছে। কিন্তু কংগ্রেসের পক্ষ থেকে নানা রকম অবাস্তব আপত্তি তোলা হচ্ছে বলে অভিযোগ আনেন জেটলি।
জন-ধন যোজনার মাধ্যমে যে-সব ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা হচ্ছে, সেগুলির মাধ্যমেই বিভিন্ন সরকারি ভর্তুকি প্রাপকদের হাতে সরাসরি তুলে দেওয়ার কথা প্রসঙ্গত উল্লেখ করেন জেটলি। তিনি বলেন, ক্রমশ নগদ টাকায় লেনদেন কমানোই সরকারের উদ্দেশ্য।