Jairam Ramesh

যোগ্যতা ছাড়াই বরাত আদানির সংস্থাকে!

রবিবার সিএজি-র ২০১৭-২০২১ পর্যন্ত রিপোর্ট তুলে ধরে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশের দাবি, যোগ্য না হলেও তেলঙ্গানায় সড়ক তৈরির বরাত পেয়েছে আদানি ট্রান্সপোর্ট। প্রকল্পের অঙ্ক ১৫৬৬ কোটি টাকা।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৬:৪০
Share:

কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ। —ফাইল চিত্র।

দেশে দুর্নীতি থাকবে না বলে সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবে তাঁর সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধীদের নতুন অভিযোগ: আদানি গোষ্ঠী-সহ বিভিন্ন ‘কাছের বন্ধু’ ও বিজেপিকে অনুদান প্রদানকারী সংস্থাকে ভারতমালা প্রকল্পে পরিকাঠামো নির্মাণের ক্ষেত্রে বাড়তি সুবিধা পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। যাতে প্রকল্পের খরচ বেড়েছে। রবিবার সিএজি-র ২০১৭-২০২১ পর্যন্ত রিপোর্ট তুলে ধরে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশের দাবি, যোগ্য না হলেও তেলঙ্গানায় সড়ক তৈরির বরাত পেয়েছে আদানি ট্রান্সপোর্ট। প্রকল্পের অঙ্ক ১৫৬৬ কোটি টাকা। বরাত পেয়েছে বিজেপি-কে অনুদান দেওয়া আরও কিছু সংস্থাও। একমাত্র যৌথ সংসদীয় কমিটির (জেপিসি) তদন্ত কেন্দ্রের দুর্নীতি সামনে আনতে পারে।

Advertisement

রমেশের অভিযোগ, ৩৫,০০০ কিলোমিটার সড়ক তৈরির প্রকল্পে বিভিন্ন সুবিধা দেওয়া হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর ‘ঘনিষ্ঠ’ ও বিজেপির ‘অর্থ জোগানকারী’ সংস্থাগুলিকে। এর মধ্যে তেলঙ্গানায় সূর্যপেট থেকে খাম্মাম পর্যন্ত ২৫০ কিলোমিটার নির্মাণের বরাত গিয়েছে আদানি ট্রান্সপোর্টের নেতৃত্বাধীন জোটের হাতে। যার ৭৪% অংশীদারি আদানি গোষ্ঠীর সংস্থাটির। অথচ সিএজি-র রিপোর্ট বলছে, ‘‘প্রকল্পের জন্য যে যোগ্যতা দরকার, সড়ক তৈরির সেই পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতা সংস্থার ছিল না।’’ কংগ্রেস নেতার দাবি, আদানি ট্রান্সপোর্ট অন্য সংস্থার নামে অভিজ্ঞতার প্রমাণ জমা দিয়েছিল। তা-ও আবার জাতীয় সড়ক তৈরি নয়, বিদ্যুৎ ক্ষেত্রের। তাদের জোটের হাতে যে ৩০৪ কোটি টাকা মূলধন রয়েছে দেখানো হয়েছিল, সেখানেও নাম ছিল অন্য সংস্থার। তার পরেও ‘মোদী ম্যাজিকের’ হাত ধরে ২০১৯-এর ২০ ফেব্রুয়ারি আদানিদের সংস্থাটিকে যোগ্য বলে ঘোষণা করা হয় এবং তাদের জোটকে ৮ মার্চ বরাত দেন জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ। যার অধীনে প্রকল্পের ৪০% সরাসরি নগদ ভর্তুকি পায় আদানি ট্রান্সপোর্টের জোট।

রমেশ বলেন, বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক ও তাদের পুঁজি জোগায়, এমন অন্যান্য সংস্থাকেও বিভিন্ন প্রকল্পের বরাত দেওয়া হয়েছে। তাঁর বক্তব্য, এর পরেই বিভিন্ন প্রশ্ন উঠছে, যেগুলির উত্তর একমাত্র জেপিসি-ই দিতে পারে।

Advertisement

উল্লেখ্য, জানুয়ারিতে আদানিদের বিরুদ্ধে কারচুপি করে সংস্থার শেয়ার দর বাড়ানোর অভিযোগ তুলেছিল আমেরিকার হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ। একই দাবি তদন্তকারী সাংবাদিকদের আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক ওসিসিআরপি -রও। তাদের অন্য রিপোর্টে অভিযোগ, কেন্দ্রের কাছে পরিবেশ আইন শিথিলের দরবার করেছিল বেদান্ত। কথা ছাড়াই ‘অবৈধ’ ভাবে আর্জি মেনে নেয় কেন্দ্র। সেখানে অনুদানের বদলে সুবিধার ইঙ্গিতও দেওয়া হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন