Coronavirus

এগোনোর চেষ্টা চলবে প্রতিকূলতাকে মেনেই

নতুন অর্থবর্ষের গোড়াতেই অর্থনীতিকে চ্যালেঞ্জের সামনে দাঁড় করিয়েছে করোনা। এর প্রভাব জাতীয় অর্থনীতির উপরে কতটা পড়বে, তার নিত্যনতুন পূর্বাভাস দিচ্ছে মূল্যায়ন সংস্থাগুলি।

Advertisement

অমিতাভ গুহ সরকার 

শেষ আপডেট: ১১ মে ২০২০ ০৪:১৮
Share:

ফেরা: বাচ্চা কোলে বাস ছাড়ার অপেক্ষায়। পাটিয়ালায়। পিটিআই

চলছে গৃহবন্দিত্বের তৃতীয় দফা। অথচ করোনার দাপট কমেনি। কবে নিয়ন্ত্রণে আসবে, তা-ও ঠিক নেই। তাই বলে অর্থনীতির চাকা তো অনির্দিষ্টকাল থেমে থাকতে পারে না! তাই নানা নিয়মে বেঁধে ধীরে ধীরে তাকে গতিশীল করার চেষ্টা শুরু করেছে কেন্দ্র।

Advertisement

নতুন অর্থবর্ষের গোড়াতেই অর্থনীতিকে চ্যালেঞ্জের সামনে দাঁড় করিয়েছে করোনা। এর প্রভাব জাতীয় অর্থনীতির উপরে কতটা পড়বে, তার নিত্যনতুন পূর্বাভাস দিচ্ছে মূল্যায়ন সংস্থাগুলি। আর রিজার্ভ ব্যাঙ্ক তো বলেই দিয়েছে, ঠিক মতো পূর্বাভাস দেওয়াও এখন সম্ভব নয়। ফলে এই অবস্থায় জিডিপির হিসেব না-কষে, অর্থনীতির ভালমন্দ দিকগুলির মধ্যে আলোচনা সীমাবদ্ধ রাখতে হবে। যদিও খারাপের পাল্লাই এখন ভারী।

আশঙ্কার দিক

Advertisement

•লকডাউনের জেরে কাজ যেতে পারে আরও অনেক। কমতে পারে বেতনও। ফলে বাজারে চাহিদা কমবে।

•চাহিদার অভাব শিল্পকে ধাক্কা দিয়েছিল আগেই। তা আরও কমায় কিছু ছোট-মাঝারি সংস্থা বন্ধের আশঙ্কা।

•পরিযায়ী শ্রমিকেরা নিজেদের রাজ্যে ফিরছেন। তাই বহু শিল্প দক্ষ শ্রমিকের অভাবে ভুগবে। অন্য দিকে কমছে রফতানিও।

•শিল্প ও মানুষের আয় কমায়
ধাক্কা খেতে পারে কর আদায়। ফলে রাজকোষ ঘাটতি ছুঁতে পারে ৫.৫%।

•কেন্দ্র ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ৭.৮ লক্ষ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ১২ লক্ষ কোটি করেছে। কিন্তু বাজার থেকে ধার করলে ঋণপত্রের দাম কমবে, বাড়বে ইল্ড। অর্থাৎ, কমতে পারে বন্ডে পুরোনো লগ্নির বাজারদর।

•দ্বিতীয় দফার ত্রাণ প্রকল্প ঘোষণা করেনি কেন্দ্র। যদিও তার জন্য চাপ বাড়ছে। জোরদার হচ্ছে গরিবদের অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা দেওয়ার দাবিও।

•সুদ কমাচ্ছে ব্যাঙ্ক ও ডাকঘর। সমস্যায় সুদ-নির্ভর মানুষ।

•সেনসেক্স ঘোরাফেরা করছে ৩১-৩২ হাজারের ঘরে।
আগামী দিনেও বাজারে দোলাচল থাকতে পারে।

তবু আশা

•আর্থিক কর্মকাণ্ড চালুর চেষ্টা করছে কেন্দ্র। তা বাড়বে।

•স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজ শুরু করেছে কিছু সরকারি দফতর, ব্যাঙ্ক, বেসরকারি সংস্থা।

•গ্রিন জ়োনে খুলেছে দোকান। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি হচ্ছে সর্বত্র।

•এ বছর কৃষি উৎপাদন ভাল হতে পারে, বলেছে কেন্দ্র।

করোনার প্রকোপ শুরু হওয়ার পরে প্রায় দেড় মাস দেশের আর্থিক কার্যকলাপ বন্ধ ছিল। তাতেই চারদিকে ত্রাহি রব উঠেছে। লকডাউনের প্রায় প্রত্যেক সপ্তাহেই বিভিন্ন সমীক্ষায় প্রকট হয়েছে বেকারত্ব বৃদ্ধির ছবি। সরকার ও মানুষের কাছে স্পষ্ট যে, করোনার প্রকোপ এখনই কমবে না। ঘর করতে হবে একে নিয়েই। এ কথা মাথায় রেখেই বিভিন্ন ক্ষেত্রে কর্মকাণ্ড চালুর অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। ৩৩% কর্মী নিয়ে কাজ শুরু হয়েছে বেসরকারি সংস্থায়। গতি পাচ্ছে সরকারি দফতর এবং ব্যাঙ্কের কাজকর্ম।

আরও পড়ুন: আয়করের হিসেবে স্বস্তি অনাবাসীদের

গ্রিন জ়োনে প্রায় সব ধরনের দোকান খুলেছে। অন্যান্য জায়গাতেও অনুমতি দেওয়া হয়েছে শর্তসাপেক্ষে নিত্যপ্রয়োজনীয় দোকানপাট খোলার। প্রায় সকলকে অবাক করে মদের দোকান খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে সব জ়োনে। হয়তো রাজস্ব আদায়ের উদ্দেশ্যেই। তবে সন্দেহ নেই, এখনও বহু মানুষের কাজ যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। কিন্তু যত বেশি সম্ভব মানুষকে কাজে ফিরিয়ে অর্থনীতিকে সচল করার চেষ্টা করছে সরকার।

(মতামত ব্যক্তিগত)

আরও পড়ুন: ধাক্কা উৎপাদনে, ত্রাণ চায় দার্জিলিংয়ের বাগান

(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.i• ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেনআপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন