Coronavirus

কমছে এটিসি আয়ও, তল পাচ্ছে না বিমান শিল্প

কলকাতার উপর দিয়ে প্রতিদিন গড়ে ৫০০ বিদেশি বিমান ভারতে না-নেমে, পূর্ব থেকে পশ্চিমে বা উল্টো দিকে যাওয়ার সময়ে এ দেশের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের (এটিসি) পরিষেবা নিত।

Advertisement

সুনন্দ ঘোষ

শেষ আপডেট: ১১ মে ২০২০ ০৬:৪৬
Share:

প্রতীকী ছবি

করোনার দাপটে তছনছ আর্থিক অবস্থায় বিপাকে ভারতের বিমান শিল্প। ব্যবসা তো থমকেই। কমছে বিদেশি বিমানকে পরিষেবা দিয়ে হওয়া আয়ও।

Advertisement

কলকাতার উপর দিয়ে প্রতিদিন গড়ে ৫০০ বিদেশি বিমান ভারতে না-নেমে, পূর্ব থেকে পশ্চিমে বা উল্টো দিকে যাওয়ার সময়ে এ দেশের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের (এটিসি) পরিষেবা নিত। এখন তা নেমেছে ১৫০-তে। বহু দেশ তাদের আন্তর্জাতিক উড়ান পরিষেবা বন্ধ করেছে বা কমিয়েছে। অথচ এই বিমানগুলিকে পরিষেবা দিয়ে মার্চের প্রথম সপ্তাহে কলকাতা এটিসি-র প্রায় ৫.৫ কোটি টাকা আয় হয়েছিল। এই সপ্তাহে দাঁড়িয়েছে ২-২.৫ কোটিতে। এখনও কিছু বিদেশি, প্রধানত পণ্য ও উদ্ধারকারী উড়ান চলছে। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, সেগুলি বন্ধ হলে আয় তলানিতে ঠেকবে।

সিঙ্গাপুর, ব্যাঙ্কক, হংকং-সহ পূর্বের দেশ থেকে বিমান পশ্চিমে গেলে কম ঘুরতে ভারতে ঢোকে মূলত মায়ানমার বা বাংলাদেশ হয়ে। আর ঢুকলেই তা কলকাতা এটিসি-র আওতায় আসে। নিয়ম, যেখান দিয়ে বিমান ঢুকবে, গোটা দেশের পরিষেবা পেতে সেখানকার এটিসি-কে টাকা (রুট নেভিগেশন ফেসিলিটি চার্জ) দিতে হবে। এই পরিষেবায় দিনে কলকাতা এটিসি বিপুল টাকা পেত। বিমানগুলি পশ্চিম থেকে পূর্বে গেলে পেত দিল্লি বা মুম্বই। তবে সেগুলিও কলকাতা দিয়েই পূবে যায়। সব মিলিয়ে কলকাতার উপর দিয়ে সফর করত দিনে প্রায় ৫০০ বিদেশি বিমান। এই সংখ্যা কমায় মার খাচ্ছে আয়ও।

Advertisement

এই টাকা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের বড় ভরসার জায়গা। নিয়মিত বিমান ওঠানামা করলে ল্যান্ডিং ও পার্কিং চার্জ মেলে। এখন সব থমকে। কর্তাদের আশঙ্কা, এর জের বইতে হবে কর্মীদের।

(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেনআপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন