Brent Crude Oil

ইরানের হুঁশিয়ারিতে আরও চড়ল অশোধিত তেলের দর

বুধবার বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেল ব্রেন্ট ক্রুডের ব্যারেল ঘোরাফেরা করছে ৭৬-৭৭ ডলারের মধ্যে। কয়েক সপ্তাহ আগেও যা নেমেছিল ৫৯ ডলারে।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৯ জুন ২০২৫ ০৬:৫৪
Share:

ফের বাড়তে শুরু করেছে অশোধিত তেলের দাম। —প্রতীকী চিত্র।

পশ্চিম এশিয়ায় ইরান-ইজ়রায়েলের মধ্যে সংঘর্ষের জেরে ফের বাড়তে শুরু করেছে অশোধিত তেলের দাম। বুধবার বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেল ব্রেন্ট ক্রুডের ব্যারেল ঘোরাফেরা করছে ৭৬-৭৭ ডলারের মধ্যে। কয়েক সপ্তাহ আগেও যা নেমেছিল ৫৯ ডলারে। আশঙ্কা বাড়ছে, এ বার যদি ইজ়রায়েলের হামলার পাল্টা দিতে গিয়ে ইরান হরমুজ় প্রণালী আটকে দেয়, সে ক্ষেত্রে সারা বিশ্বেই জ্বালানির দাম আবার ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যার ফলে ঝামেলায় পড়বে ভারতের মতো তেল আমদানিকারী দেশগুলি। সে ক্ষেত্রে তেলের দাম বেড়ে গিয়ে মূল্যবৃদ্ধি আবারও মাথাচাড়া দেওয়ার সম্ভাবনা থাকছে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা। এই অবস্থায় কৃষি-পরিবহণে জ্বালানিতে ভর্তুকির দাবিও করছেন অনেকে। উল্লেখ্য, বর্তমানে কলকাতায় ইন্ডিয়ান অয়েলের পাম্পে পেট্রলের দাম লিটারে ১০৫.০১ টাকা। ডিজ়েল ৯১.৮২ টাকা।

ওমান এবং ইরানের মধ্যে সরু সমুদ্র প্রণালী হল হরমুজ়। যার কোনও কোনও জায়গা মাত্র ৩৩ কিলোমিটার চওড়া। যাতায়াতকারী জাহাজের মধ্যে মাত্র ২ কিলোমিটার ফারাক থাকে। এই জলপথে বিশ্বের অধিকাংশ তেল আমদানি-রফতানি করা হয়। সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, কুয়েত, কাতার, ইরাক, ইরানের মতো দেশ এখান দিয়ে তেল রফতানি করে। আবার বিশ্বের তরল প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি-রফতানিরও প্রায় ২০% হয় হরমুজ় দিয়ে। যার মধ্যে কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহির সমস্ত গ্যাসই যায় এই পথে।

সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, চাহিদার ৮৫ শতাংশের বেশি তেল বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয় ভারতকে। এর মধ্যে হরমুজ় প্রণালী দিয়েই সৌদি আরব, ইরাক, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি থেকে তেল ও কাতার থেকে এলএনজি বয়ে আনে দেশীয় সংস্থাগুলি। ফলে হরমুজ বন্ধ হলে তাদেরকে তেল, শোধনের খরচ ও গ্যাসের দাম বাবদ বেশি টাকা গুনতে হবে। লোহিত সাগর দিয়ে চাহিদার একাংশ আনা গেলেও বিমা-সহ খরচ পড়বে অনেক বেশি। যা আমদানি খরচকে বাড়াবে। সে ক্ষেত্রে মূল্যবৃদ্ধি মাথাচাড়া দিতে পারে। জিনিসের দাম বাড়লে শীর্ষ ব্যাঙ্ক সুদ কমানোর পথ থেকে সরতে বা তা বাড়াতে পারে।

অর্থনীতিবিদ অজিতাভ রায়চৌধুরী বলছেন, ‘‘ইরান-ইজ়রায়েল সংঘর্ষে হরমুজ় প্রণালী বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ওই পথ দিয়ে তেল আমদানি বন্ধ হলে ভারতের সমস্যা হবে। অন্য পথ দিয়ে তা আনতে পরিবহন খরচ বেশি পড়বে। ফলে দেশেও তেলের দাম বৃদ্ধির সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। আমার মতে, সেটা হলে অন্তত কৃষি ও পরিবহণের মতো অত্যাবশ্যক ক্ষেত্রে তেলের সরবরাহে ভর্তুকি দেওয়ার ব্যবস্থা করা উচিত সরকারের।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন

এটি একটি প্রিমিয়াম খবর…

  • প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর

  • সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ

  • সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে

সাবস্ক্রাইব করুন