সেপ্টেম্বরে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় চাহিদা কমেছে ডিজেলের। ধাক্কা পেট্রলেও।
চড়া তেলের দাম নিয়ে আমজনতার ক্ষোভ সামাল দিতে পেট্রল, ডিজেলের উৎপাদন শুল্ক কমিয়েছে কেন্দ্র। তার মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলিকে লিটার পিছু ১ টাকার দায় নিতে বলেছে তারা। সরকারি তথ্য অবশ্য বলছে, চড়া দরের ছেঁকায় সেপ্টেম্বরে টান পড়েছে তেলের চাহিদাতেই। দেখা যাচ্ছে সেপ্টেম্বরে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় চাহিদা কমেছে ডিজেলের। ধাক্কা পেট্রলেও।
গত কয়েক মাস ধরে বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেলের দাম বেড়েছে। তার উপরে ডলারের সাপেক্ষে কমেছে টাকার দর। ফলে বাড়ছে তেল আমদানির খরচ। যে কারণে দেশে বাড়ছে পেট্রল-ডিজেলের দাম। সম্প্রতি কেন্দ্র লিটারে তেলের দর আড়াই টাকা কমিয়েছিল। কিন্তু ইতিমধ্যেই কলকাতায় ইন্ডিয়ান অয়েলের পেট্রলের দাম ১.১৮ টাকা ও ডিজেলের দাম ২.২৪ টাকা বেড়েছে।
তেল মন্ত্রকের পেট্রোলিয়াম প্ল্যানিং অ্যান্ড অ্যানালিসিস সেলের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ১০ মাসের মধ্যে সেপ্টেম্বরেই প্রথম ডিজেলের চাহিদা কমেছে। ২০১৭ সালের ওই একই সময়ের তুলনায় তা কমেছে ০.৮%। পাশাপাশি, পেট্রলের চাহিদা এপ্রিল থেকেই ওঠানামা করছে। চাহিদায় প্রভাব ফেলেছে দাম বদ্ধিও।
বিক্রিতে হোঁচট
• ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে দেশে ডিজেলের চাহিদা ছিল ৬০.৭৫ লক্ষ টন। সেখানে এ বছরের সেপ্টেম্বরে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৬০.৩ লক্ষ টন।
• একই সময়ে পেট্রলের চাহিদা সামান্য বেড়েছে ঠিকই। কিন্তু ধাক্কা খেয়েছে তা বৃদ্ধির হারও। সেপ্টেম্বরে এই বৃদ্ধির হার চার মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম।
পাল্টা দাবি
• পুজো-সহ উৎসবের মরসুমে চাহিদা বাড়ে। গত বছর সেই মরসুম শুরু হয়েছিল সেপ্টেম্বরেই। তাই তার তুলনায় কম দেখাচ্ছে এ বছরের চাহিদাকে। তাই অক্টোবরে তার আসল ছবি বোঝা যাবে।
২০১৭-র চেয়ে সেপ্টেম্বরে পেট্রলের চাহিদা বেড়েছে ৪.২%। কিন্তু গত চার মাসের মধ্যে এই বৃদ্ধি সবচেয়ে কম। মোটের উপর তেলের চাহিদা এক বছর আগের তুলনায় কমেছে প্রায় ১.১%। আর এ বছরের অগস্টের চেয়ে সেপ্টেম্বরে চাহিদা কমেছে ১.৩%।
তেল সংস্থাগুলির অবশ্য দাবি, দামই চাহিদায় টানের একমাত্র কারণ কি না, তা বলার সময় আসেনি। এইচপিএল কর্ণধার এম কে সুরানার দাবি, গত বছর সেপ্টেম্বরে পুজো থাকায় তেল বিক্রি বেশি হয়েছিল। তাই এ বছর সেপ্টেম্বরে ওই চাহিদা কম দেখাচ্ছে। অক্টোবর-নভেম্বরের তথ্য না পাওয়া পর্যন্ত এ নিয়ে সিদ্ধান্তে পৌঁছনো ঠিক নয় বলে তাঁর মত।