পুরোপুরি অ্যাপে যাচ্ছে না ফ্লিপকার্ট

পরিকল্পনা ছিল, অ্যাপ চালু হওয়ার কারণে এ বার বন্ধ হয়ে যাবে ওয়েবসাইট। শুধুমাত্র অ্যাপ-এর মাধ্যমেই ফ্লিপকার্টের নেট বাজারে পা রেখে কেনাকাটা করতে পারবেন গ্রাহক। কিন্তু তাতে কিছুটা বদল এনে ই-কমার্স সংস্থাটি জানিয়ে দিল, এখনই পুরোদস্তুর মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের (অ্যাপ) মাধ্যমে পণ্য বেচার পথে হাঁটছে না তারা। চালু থাকছে সাইটও।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

বেঙ্গালুরু শেষ আপডেট: ২৮ অগস্ট ২০১৫ ০০:৫৮
Share:

পরিকল্পনা ছিল, অ্যাপ চালু হওয়ার কারণে এ বার বন্ধ হয়ে যাবে ওয়েবসাইট। শুধুমাত্র অ্যাপ-এর মাধ্যমেই ফ্লিপকার্টের নেট বাজারে পা রেখে কেনাকাটা করতে পারবেন গ্রাহক। কিন্তু তাতে কিছুটা বদল এনে ই-কমার্স সংস্থাটি জানিয়ে দিল, এখনই পুরোদস্তুর মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের (অ্যাপ) মাধ্যমে পণ্য বেচার পথে হাঁটছে না তারা। চালু থাকছে সাইটও।

Advertisement

গত মাসেই তাদের ওয়েবসাইট বন্ধ হয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছিল ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় নেটে কেনাকাটার সংস্থাটি। কিন্তু সম্প্রতি ফ্লিপকার্টের চিফ প্রোডাক্ট অফিসার পুনীত সোনি জানিয়েছেন, তাঁরা মোবাইলে অ্যাপের মধ্যেই বিভিন্ন ধরনের পরিষেবা আনলেও, তার বদলে এখনই বন্ধ করা হচ্ছে না ওয়েবসাইট। উল্লেখ্য, এর আগে শুধুমাত্র মোবাইল অ্যাপ মারফত পণ্য বিক্রির পথে হেঁটেছে ফ্লিপকার্টেরই শাখা, আর এক ই-কমার্স সংস্থা মিন্ত্রা।

যদিও ফ্লিপকার্টের দাবি, অ্যাপের মাধ্যমেই গ্রাহকের কাছে আরও উন্নত পরিষেবা পৌঁছে দিতে চায় তারা। কারণ দেশের ৯০ কোটি মানুষই মোবাইল ব্যবহার করেন। এবং গত কয়েক মাস ধরে মোবাইলের মাধ্যমে পণ্য কেনার চাহিদাও বাড়ছে এখানে। আগামী দিনে তা আরও বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

Advertisement

ব্যবসার হাতিয়ার হিসেবে অ্যাপের পরিধি বাড়াতে সম্প্রতি নতুন পরিষেবা এনেছে সংস্থা। ঠিক যে-ভাবে কোনও কিছু কেনার আগে মানুষ বন্ধু-বান্ধব ও পরিবারের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে নেন, সে ভাবেই অ্যাপের মধ্যেই থাকা এই ‘পিং’ পরিষেবার মাধ্যমে ক্রেতা কোনও পণ্য বাছাইয়ের জন্য কারও মতামত নিতে পারবেন। মেসেজ করেই এই পরিষেবার সুযোগ নেওয়া যাবে। তবে প্রাথমিক ভাবে শুধু আমন্ত্রণের মাধ্যমেই এই পরিষেবা পাবেন ক্রেতা।

প্রসঙ্গত, এর আগে ফ্লিপকার্ট-এর শুধুমাত্র অ্যাপ-এর মাধ্যমে পণ্য বিক্রির প্রস্তাব নিয়ে সমালোচনাও শোনা গিয়েছিল বিভিন্ন মহলে। অনেকেরই ধারণা, এখনও ক্রেতাদের বড় অংশ বিভিন্ন সাইটে পণ্য এবং তার দাম তুলনা করে তা কেনা পছন্দ করেন। অ্যাপের ক্ষেত্রে যে-সুবিধা নেই। কম্পিউটারের বড় স্ক্রিনে যেখানে সহজে পণ্যের খুঁটিনাটি বোঝার সুবিধা রয়েছে, সেখানেই মোবাইলের ছোট স্ক্রিনে সমস্যা হয় বলেও তাঁদের দাবি। রয়েছে মোবাইল নেটওয়ার্কের সমস্যাও।

আবার একাংশের মতে, অনেকেই নিজেদের মোবাইলে ১৯-২০টি অ্যাপ ব্যবহার করেন। প্রয়োজন মতো বিভিন্ন অ্যাপ ডাউনলোড করা এবং মুছে দেওয়াও সহজ। সুতরাং এই অবস্থায় শুধুমাত্র অ্যাপের উপর নির্ভর করে ব্যবসা চালানো কতটা লাভজনক হবে, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ
করেছিলেন তাঁরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন